বাড্ডায় চার খুনের নেপথ্যে ঝুট ব্যবসা


প্রকাশিত: ০৮:৫৯ এএম, ২৮ আগস্ট ২০১৬

বাড্ডার চাঞ্চল্যকর চার খুনের নেপথ্যে ছিল ঝুট ব্যবসা আর ওই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেন মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ জুয়েল নামে এক ব্যক্তি- পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান ও ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম এই তথ্য জানিয়েছেন।
 
রোববার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগে আনুষ্ঠানিক এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।

গতকাল শনিবার রাতভর বাড্ডা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বাড্ডা থানার আদর্শ নগর এলাকা থেকে ওই হত্যা মামলার চার আসামিকে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তর বিভাগ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ জুয়েল (২৮), মোজাহিদুল ইসলাম (২১), সাফায়েত উল্লাহ ওরফে সোহাগ (২৬), রাহাত হোসেন কাব্য (১৮), ইকবাল আহম্মেদ রানা (২৩) ও শাহ পরান হোসেন রাজু (২১)। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ২টি পিস্তল ও ৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
 
গত বছরের ১৩ আগস্ট রাতে বাড্ডা থানাধীন আর্দশ নগরের মাহাবুবুর রহমান গামা, সামসু মোল্লা, মানিক ও ছালাম নিহত হয়। ওই ঘটনায় বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু হয়।
 
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ জুয়েল খুনের নেপথ্যে পরিকল্পনা, কারণ, হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহনকারীদের নাম ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রসহ সার্বিক বিষয়ে তথ্য প্রদান, হত্যাকাণ্ডে তার সংশ্লিষ্টতা স্বীকার করেন।
 
তার দেয়া তথ্য মতে গুলশান ও বাড্ডা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী অন্যান্য পাঁচ সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়।

মনিরুল ইসলাম বলেন, মধ্যবাড্ডা আদর্শনগর এলাকার জলিলের মালিকানাধীন স্টার গার্মেন্টসের েঝুট ব্যবসার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এলাকার দুটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ বিদ্যমান ছিল। এক পক্ষের নেতা বাউল সুমন মারা যাওয়ার পর অন্য পক্ষ ওই গার্মেন্টসের ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিতে গেলে বিরোধ পাকাপোক্ত হয় এবং হত্যার ঘটনা ঘটে।
 
জেইউ/এনএফ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।