তসলিমা নাসরিনের দীর্ঘমেয়াদি ভিসা বাতিল


প্রকাশিত: ০৮:৩২ এএম, ০১ আগস্ট ২০১৪

তসলিমা নাসরিনের দীর্ঘমেয়াদি ভিসা বা ‘এক্স’ ভিসা নবায়ন না করে ভিসার মেয়াদ দুই মাস বাড়িয়েছে ভারত সরকার। বুধবার এই মেয়াদ বাড়ানো হয়।

তসলিমা নাসরিন ২০০৪ সাল থেকে ভারতে যে দীর্ঘমেয়াদি ভিসা সুবিধা পেয়ে আসছিলেন, তার প্রক্রিয়া যাচাই করে দেখতেই স্থগিত করা হয়েছে তার ভিসা নবায়ন। তসলিমার ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন যাচাইয়ের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলেই তার ভারতে বসবাসের ক্ষেত্রে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘বুধবার তসলিমার ভিসার মেয়াদ আপাতত দুই মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে। এটি অনেকটা দীর্ঘমেয়াদি ‘এক্স’ ভিসার মতোই। কিছু আনুষ্ঠানিক তথ্য যাচাইয়ের জন্যই ‘এক্স’ ভিসার নবায়ন করা হয়নি। তবে দুই মাসের মধ্যেই প্রয়োজনীয় তথ্য যাচাইয়ের কাজ শেষ হয়ে যাবে। এর পরই দীর্ঘমেয়াদি ভিসার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

ভারত সরকার সাধারণত অন্য জাতীয়তার নাগরিকদের জন্য ভারতে ১৮০ দিন থাকার অনুমোদন দিয়ে থাকে। প্রতি ৬ মাস পর এই ভিসা নবায়ন করতে হয়।

ভারত সরকারের এই সিদ্ধান্ত অপ্রত্যাশিত বলে টুইটারে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন তসলিমা। ১৯৯৪ সাল থেকে নির্বাসনে থাকা ৫২ বছর বয়সী এই লেখক ২০০৪ সাল থেকে ভারতে বাস করছেন। প্রত্যেক ৬ মাস অন্তর ভিসা নবায়নের নিয়ম থাকলেও কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ২০১১ সাল থেকে তসলিমাকে একেবারে পুরো বছরের ভিসা নবায়নের অনুমোদন দেয়।
ভিসার মেয়াদ না বাড়ানো প্রসঙ্গে তসলিমা নাসরিন টাইমস অব ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘আমি ভীষণ অবাক হচ্ছি যে, নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার আমার এক বছর মেয়াদি বসবাসের অনুমতি বাতিল করে দিয়েছে। ২০০৭ সালে মৌলবাদীরা যখন আমার মাথার দাম ঘোষণা করে আমাকে কলকাতা ছাড়তে বাধ্য করেছিল, তখন যে অল্প কয়েকজন আমাকে সমর্থন দিয়েছিলেন তাদের একজন ছিলেন মোদি।’

২০০৮ সালে ইউপিএ সরকার তাকে ভারত ছাড়ার জন্য চাপ দিলেও ওই সময়ে তার ভারতে বসবাসের অনুমতি বাতিল করেনি বলেও জানান তসলিমা। বরং কলকাতা থেকে দিল্লিতে বসবাসের অনুমতি দিয়েছিল।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে ভাবনগরে নির্বাচনী প্রচার চালাতে গিয়ে মোদি তসলিমা নাসরিনকে নিরাপত্তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছিলেন, ‘কেন্দ্র সরকার যদি তসলিমার নিরাপত্তা দিতে না পারে তাহলে তাকে গুজরাটে পাঠিয়ে দিক। গুজরাটের জনগণ ও সরকার তার নিরাপত্তা দেবে। আমি তার নিরাপত্তা দেওয়ার সাহস রাখি।’

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।