ফাঁকা সচিবালয়ে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়
ঈদুল ফিতরের তিন দিন ছুটির পর বৃহস্পতিবার খুলেছে সরকারি অফিস। প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয় ঘুরে দেখা গেছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতির হার ছিল খুবই কম। সচিবালয়ে কাজ করা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, সচিবালয়ে উপস্থিতির হার ৪০ শতাংশের মতো।
মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীও এসেছেন হাতেগোনা কয়েকজন। সচিবালয়ে এসেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। কোনো কোনো মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এক কক্ষে জড়ো হয়ে পরস্পরের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ে মেতে উঠেছেন। সচিবালয়ের বারান্দা, সিঁড়ি, লিফট- সবত্রই ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের উষ্ণ কোলাহল। একে অপরকে দেখা মাত্রই বুকে জড়িয়ে নিচ্ছেন। ভেদাভেদ নেই কর্মকর্তা-কর্মচারীর, উঁচু-নিচুর। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলছেন, ঈদের পর প্রথম অফিসই সচিবালয়ে ঈদের দিন।
দেশে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) পবিত্র ঈদুল ফিতর পালিত হয়েছে। এ জন্য গত সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত সরকারি ছুটি ছিল। অনেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী তাদের নির্বাচনী এলাকায় ঈদ করার কারণে তারা অফিসে উপস্থিত হননি।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত ও অর্থ প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান সকালে এসে সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে ঈদপরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। মন্ত্রী বলেন, এবার ঈদের বাজারে প্রচুর লাভ হয়েছে। একই সঙ্গে স্বস্তি ও তৃপ্তির ঈদ হয়েছে। আবহাওয়াও ভালো ছিল, কোনো সমস্যা হয়নি।
যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সড়ক বিভাগের সচিবও সকালে এসে সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের সকলের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদও নিজ দফতরে বসেই আগতদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় ও কোলাকুলি করেন। তিনি বলেন, মানুষের আর্থিক স্বচ্ছলতা বেড়েছে, তাই এবার সবার ঈদ ভালো কেটেছে।
ঈদের ছুটির পর এক দিন অফিসের পর আবার দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় অনেকে বৃহস্পতিবার ছুটি নিয়েছেন। তারা একবারে ৬ দিন ছুটি কাটিয়ে আগামী রবিবার অফিসে ফিরবেন বলে একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
অনেকে গ্রাম থেকে সরাসরি অফিসে এসেছেন। ১০টার পরও তাদের সচিবালয়ে ঢুকতে দেখা গেছে। ঈদের পর প্রথম কর্মদিবসে সচিবালয়ের দর্শনার্থীদের আনাগোনা চোখে পড়েনি।