ফলে কেমিক্যাল : সরকারের গাইড লাইন


প্রকাশিত: ০৯:৩২ এএম, ২১ জানুয়ারি ২০১৫

হাইকোর্টের নির্দেশে কেমিক্যালের মাধ্যমে ফল পাকানো বন্ধ করণ গাইড লাইন প্রণয়ন করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত বছরের  জুলাই মাসের ২২ তারিখ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে দায়ের করা এ সংক্রান্ত রীট মামলা নং  ৪৪৯৬/১০ এর নির্দেশনার প্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারিত ছয়মাসের মধ্যে এ গাইড লাইন প্রণয়ন করে তা হাইকোর্টে দাখিল করা হয়। ইতোমধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক “নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩” প্রণয়ন হয়েছে। এ আইনের আওতায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। একর্তৃপক্ষ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে এ গাইড লাইন কার্যকর থাকবে।

এ গাইড লাইন বাস্তবায়নে নিরাপদ খাদ্য আইন- ২০১৩, বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯, দণ্ড বিধি-১৮৬০ সালসহ অন্যান্য সকল সংশ্লিষ্ট আইন প্রযোজ্য হবে।

কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অপরিপক্ক ফল কেমিক্যাল প্রয়োগের মাধ্যমে পাকানোর উদ্দেশ্যে মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার করে থাকে। এ কেমিক্যাল মানুষের দেহে অনেক রোগের সৃষ্টি করে। সরকার কেমিক্যালের মাধ্যমে ফল পাকানোর বিষয়ে সার্বক্ষনিক পরিবীক্ষণের ব্যবস্থা করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ গাউড লাইনের আওতায় একটি কেন্দ্রীয় পরিবীক্ষণ কমিটি থাকবে।

এ কমিটির সভাপতি থাকবেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব। এছাড়া সদস্য থাকবেন- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়,  স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়,  শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, শিল্পমন্ত্রণালয়, মৎস ও প্রণী সম্পদ মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, বিসিএসআইআর, বিএসটিআই, পাবলিক হেলথ ইনস্টিটিউট, এফবিসিসিআই, কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ(ক্যাব), এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি কমিটির সদস্য হিসেবে কাজ করবে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিগণ যুগ্ম সচিবের নীচে কেউ থাকবেন না। জেলা, উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে স্থানীয়  প্রশাসনের সমন্বয়ে কমিটি গঠন ও কাজ করবে।

এ গাইড লাইনের আওতায় কমিটি ক্যালশিয়াম কার্বাইড, পিজিআরসহ অনুমোদিত কেমিক্যাল ক্রয়-বিক্রয় এর রেজিষ্টার ও গোডাউন পরিদর্শন, ব্যবহার পরিবীক্ষণ করবে। কোন অনিয়ম পাওয়া গেলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট প্রচলিত আইন মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এছাড়া মৌসুমী ফল বিশেষ করে আম, জাম, লিচু, কাঁঠাল, আনারস, পেয়ারা, কলা, পেপে, লেবু,ইত্যাদিতে ক্যালসিয়াম কার্বাইড ও পিজিআরসহ অন্যান্ন মেমিক্যাল দিয়ে পাকানো ফলের স্বাস্থ্যগত ক্ষতির বিষয়টি তুলে ধরে জনগণকে সচেতন করতে প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে।

এসএ/আরএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।