একটি চিন্তার প্রতিফলন
রাজবাড়ি সদর উপজেলার ৫নং বরাটা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে জাগো নিউজের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ শেষ করেই তাৎক্ষণিকভাবে মাথায় একটি বিষয় নাড়া দেয়। যেমনি চিন্তা তেমনি প্রতিফলন।
সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি ওয়েব ইনচার্জ হাসিবুল হাসান অাশিক, মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম মনির, জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি রুবেলুর রহমানকে নিয়ে ত্রাণের কিছু খাবার প্যাকেট রাজবাড়ি সরকারি শিশু পরিবারের (বালিকা) শিশুদের মাঝে দেয়া যায় কিনা। প্রস্তাবটি দিতে না দিতেই সবাই একমত পোষণ করেন।
এসময় পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে অনেকেই শিশুদের কষ্টের বর্ণনা তুলে ধরেন এবং তাদের জন্য ৯৬ প্যাকেট খাবার বণ্টনের ব্যবস্থা করা হয়।
এর অাগে বরাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মনিরুজ্জামান তার ইউনিয়নের ৫ শতাধিক বন্যাকবলিত মানুষের হাতে জাগো নিউজের ত্রাণ তুলে দেন। এ সময় তার সঙ্গে সব ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাকি ৮৪০ প্যাকেট ত্রাণ পার্শ্ববর্তী দুটি ইউনিয়নের বন্যাকবলিতদের মাঝে বিতরণের জন্য চেয়ারম্যানদের হাতে তুলে দেয়া হয়।
এরপর বিকেল ৫টায় খাবার নিয়ে সরকারি বালিকা এতিমখানায় হাজির হলে ছোট্ট ছোট্ট সোনামণিরা খুশিতে মেতে ওঠে। তাদের এই অানন্দ প্রকাশ বুঝিয়ে দিয়েছে এমন কিছুর প্রত্যাশা যেন তাদের ছিল বহুদিন ধরে।
সেখানে উপ-তত্ত্বাবধায়ক মনিরুল ইসলামের হাতে খাবারগুলো তুলে দেয়া হয়। এসময় তিনি বলেন, জাগো নিউজের এই উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়। এতিম শিশুদের পাশে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান থেকে এভাবে সহযোগিতা পাওয়া গেলে শিশুদের জন্য বাড়তি কিছু করা সম্ভব।
তবে তিনি জেলা প্রশাসকের প্রশংসা করে বলেন, তিনি সব সময় এতিম শিশুদের খোঁজখবর রাখেন।
এতিমখানায় কর্মরত ঝর্ণা রানী (শিশুদের খালা হিসেবে পরিচিত) জাগো নিউজকে বলেন, সরকার অাগের চেয়ে এতিম শিশুদের প্রতি এখন অনেক যত্নশীল।
তিনি বলেন, এখানে মোট ৯৩ জন শিশু থাকে। তাদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়গুলো খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেন সবাই।
খাবার হাতে পেয়ে ছোট্ট সোনামণি লতা (৪ বছর) হেসে হেসে বলে, খুব ভালো লাগছে খাবার পেয়ে।
মিম (৫ বছর) জানায়, অামরা এখন ক্ষুধা লাগলেই খেতে পারবো।
এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা নুর মহল অাশরাফীর সঙ্গে জাগো নিউজের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে অাসতে পারেননি।
বিএ