শিক্ষক নিয়োগে কমিটির হস্তক্ষেপ থাকবে না: শিক্ষামন্ত্রী


প্রকাশিত: ০৮:২১ এএম, ১৩ আগস্ট ২০১৬

চলতি বছরের শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় যারা উত্তীর্ণ হবেন, তাদের স্ব স্ব উপজেলাতেই নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এক্ষেত্রে স্কুল, কলেজ বা মাদরাসা কর্তৃপক্ষ বা সভাপতির কোনো হস্তক্ষেপ থাকবে না।

শনিবার বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) আয়োজিত ১৩তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ঢাকা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

নাহিদ বলেন, শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা আগেও হয়েছে। তখন সার্টিফিকেট দেয়া হতো। এ নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগও আছে। কিন্তু এবারই প্রথম আমরা পিএসসি`র (পাবলিক সার্ভিস কমিশন) মত একটি মানসম্মত উপায়ে পরীক্ষা নিচ্ছি। এক্ষেত্রে প্রথম প্রিলিমিনারি টেস্ট হয়েছে। এখন লিখিত পরীক্ষা হচ্ছে। এরপর ১৫ দিনের মধ্যে রেজাল্ট দিয়ে মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হবে। আগামী অক্টোবরে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণদের ফলাফল প্রকাশ করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে চাহিদা নিয়েছি। ফলাফল প্রকাশের সময় অনলাইনে নিয়োগপ্রাপ্তদের জানিয়ে দেয়া হবে, তিনি কোথায় নিয়োগ পেয়েছেন। কাজেই এখানে ঘুষ, দুর্নীতির কোনো সুযোগ থাকবে না। এ প্রক্রিয়ায় শিক্ষক নিয়োগে সংশ্লিষ্ট স্কুল, কলেজ বা মাদরাসা সভাপতিরও হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ নেই।

তিনি আরো বলেন, আমরা চেয়েছিলাম মানসম্মত একটি পরীক্ষার মাধ্যমে মান সম্মত শিক্ষক বাছাই করতে। নতুন প্রক্রিয়ায় যারা নিয়োগ পাবেন, তারাও সম্মানিত বোধ করবেন। কারণ তারা একটি সুষ্ঠ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এসেছেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার সারাদেশ থেকে প্রিলিমিনারিতে ৬ লাখ ২ হাজার ৫৩৩ জন প্রার্থী স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও টেকনিক্যালের পদের জন্য আবেদন করেছিলেন। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও সমমানের জন্য গত ১২ আগস্ট ৯০ হাজার ৯৪ জন বাছাইকৃত পরীক্ষার্থীর লিখিত পরীক্ষা হয়েছে। শনিবার (১৩ আগস্ট) উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের ৫৫ হাজার ৬৯৮ বাছাইকৃত প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এর মধ্য থেকে ১৫ হাজার প্রার্থীকে বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে প্রত্যেকে নিজ নিজ উপজেলায় নিয়োগ পাবেন। নিজ উপজেলায় পদ শূণ্য না থাকলে নিজ জেলাতে পাবেন, নিজ জেলাতে না হলে বিভাগে পাবেন।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারকে শিক্ষকের চাহিদা না দিয়ে অস্থায়ী শিক্ষকদের দিয়ে কার্যক্রম চালাবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে শিক্ষা সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, এনটিআরসিএ’র চেয়ারম্যান এএমএম আজহার, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন মোল্লা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এমএমজেড/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।