অ্যাক্রেডিটেশন সনদ প্রদানের স্বীকৃতি পেল বিএবি


প্রকাশিত: ০৯:৫৬ এএম, ১৮ জানুয়ারি ২০১৫

দেশে প্রতিষ্ঠিত টেস্টিং ল্যাবরেটরিগুলোর অনুকূলে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য পরীক্ষণ সনদ (অ্যাক্রেডিটেশন সার্টিফিকেট) প্রদানের সক্ষমতা অর্জন করল শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি)। রোববার শিল্প মন্ত্রণালয় ভবনে অবস্থিত বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ডের (বিএবি) কার্যালয় পরিদর্শন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু আনুষ্ঠানিকভাবে এ স্বীকৃতির কথা জানান।

এর আগে ৮ জানুয়ারি হংকংয়ে অনুষ্ঠিত এশিয়া প্যাসিফিক ল্যাবরেটরি অ্যাক্রেডিটেশন কো-অপারেশনের বিষয়ক সভায় বিএবি এ স্বীকৃতি অর্জন করে।

অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে চিংড়ি রপ্তানিকালে লোহা মিশিয়ে ওজন বাড়ানোর অপচেষ্টার ফলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশ ইমেজ সংকটে পড়ে। এ প্রেক্ষিতে রপ্তানির ক্ষেত্রে গুণগতমান বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড গঠন করা হয়। বিএবি’র ল্যাবরেটরি অ্যাক্রেডিটেশন কার্যক্রম আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ায় বিশ্ববাজারে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি বাড়বে। তিনি এ অর্জন ধরে রাখতে টেস্টিংয়ের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মান বজায় রাখার নির্দেশনা দেন।

আমির হোসেন আমু আরো বলেন, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক নিয়ে প্রতিযোগিদের ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। এ ষড়যন্ত্রের মোকাবেলায় পণ্যের গুণগতমান উন্নত করার পাশাপাশি পরীক্ষণ ল্যাবরেটরির সক্ষমতা বাড়াতে হবে।

পরীক্ষণের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিকমান ধরে রাখতে সক্ষম হলে, বিদেশি ক্রেতারাও বাংলাদেশ থেকে টেস্টিং সার্টিফিকেট নেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বিএবি’র মহাপরিচালক মোঃ আবু আবদুল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্পসচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এনডিসি, বিএসটিআই’র মহাপরিচালক ইকরামুল হক, ডাইসিন গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান, এসজিএস এর কোয়ালিটি ও সেফটি বিষয়ক ব্যবস্থাপক মো. মোস্তাক পারভেজ বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) বর্তমানে পণ্যের ওজন ও পরিমাপ (ক্যালিব্রেশন), মেডিক্যাল ল্যাবরেটরি, সার্টিফিকেশন বডি, ইন্সপেকশন বডি ও হালাল সার্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করছে। এসব খাতে বিএবি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলে বিদেশ থেকে পণ্যের গুণগতমান সনদ নিতে যে অর্থ ও সময় খরচ হয়, তা সাশ্রয় হবে। বর্তমানে গুণগত মান সনদখাতে উদ্যোক্তাদের মোট রপ্তানির শতকরা ২০ ভাগ ব্যয় হচ্ছে। এ হিসেবে সকল বিষয়ে বিএবি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলে, বছরে ন্যূনতম ৬ বিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এসআই/আরএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।