আইএস আতঙ্কে পশ্চিমারা


প্রকাশিত: ১১:১০ এএম, ১৭ জানুয়ারি ২০১৫

ইরাক ও সিরিয়া ছাড়িয়ে আই এসের জঙ্গি হামলা ছড়িয়ে পড়ছে, পশ্চিমের দেশগুলোতে। গোয়েন্দাদের হুঁশিয়ারী ২০টি ভাগে প্রায় দুশো জঙ্গি ইউরোপে হামলা চালাতে প্রস্তুত। আর তাই সিডনি, ওটোয়া, প্যারিসের পর বেলজিয়ামের ভেরভিয়াসের ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে পশ্চিমা নেতাদের।

ফ্রান্সে সন্ত্রাসী হামলার পর এর উত্তাপ ছড়িয়েছে বেলজিয়ামেও। পূর্বাঞ্চলীয় শহর ভেরভিয়াসে পুলিশের ওপর হামলার পর দেশজুড়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

তদন্তে বেরিয়ে এসেছে, এই হামলার পেছনে রয়েছে আইএস বিদ্রোহীরা। শুধু তাই নয়, সিরিয়া ও ইরাকে প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলো যে ৩ শতাধিক মানুষ, তাদের অনেকেই বেলজিয়ামে ফিরতে শুরু করেছে।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, ফ্রান্স, জার্মানি, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসে সন্ত্রাসী হামলার জন্য প্রস্তুত প্রায় ২শ` জঙ্গি। সর্বশেষ ফ্রান্স ও বেলজিয়ামে হামলার পর, পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর এমন সতর্ক বাণী ভাবিয়ে তুলেছে পশ্চিমা দেশগুলোকে। এরপর নেদারল্যান্ডসে হামলার আশংকা করছেন গোয়েন্দারা।

ইরাক ও সিরিয়ার ভূমি দখল এবং যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র দেশের বিমান ও স্থল হামলা প্রতিরোধের পাশাপাশি, আইএস এখন পশ্চিমা দেশগুলোতে পাল্টা হামলারও কৌশল নিয়েছে।  আর এই হামলায় কোন ইরাকি ও সিরিয় নয়, বরং থাকবে আইএস প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সেসব দেশের নাগরিকেরাই। তবে সংগঠনটির এমন উত্থানে ঈর্ষান্বিত আল-কায়েদা ও তালেবানের মতো সংগঠনগুলোও এখন মৌন সমর্থন দিচ্ছে আইএসকে।

মার্কিন দূত জেনারেল জন এ্যালেন বলেন, প্যারিসের দুখজনক পরিস্থিতি আমরা সবাই দেখেছি। আই এস বিদ্রোহিরা ইরাক ছাড়িয়ে অনেক দুর এগিয়েছে। সিডনি, ওটোয়া ছাড়িয়ে ওদের আক্রমণ ব্রাসেলসেও দেখা যাচ্ছে। আইএসের হুমকি এখন শুধু ইরাকে নয়, বিশ্বব্যাপী দেখা দিয়েছে। আর তাই এদের নির্মূলে আমাদের সবাইকে সাড়া দিতে হবে।

পশ্চিমা গোয়েন্দাদের তথ্য অনুসারে, আইএস যোদ্ধাদের সাথে যোগ দিয়েছে তিন হাজারেরও বেশি ইউরোপীয়। এদের মধ্যে আড়াইশো জন বৃটেনে ফিরেছে, ২`শ জন ফ্রান্সে এবং ৭০ জনের মতো ফিরেছে বেলজিয়ামে। আর তাই বাইরে জঙ্গিবাদের বনের মেষ তাড়ানোর সাথে সাথে ঘরের শত্রু দমাতেও ব্যস্ত পশ্চিমা দেশগুলো।

 

আরু

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।