বৃষ্টির কারণে ইজতেমায় ভোগান্তি


প্রকাশিত: ০৯:০০ এএম, ১৭ জানুয়ারি ২০১৫

শনিবার ভোর রাতে বিশ্ব ইজতেমাস্থল ও আশেপাশের এলাকায় হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী বৃষ্টিতে ময়দানের মুসল্লিদের অনেকেই কাকভেজা হন। ভিজে যায় তাদের বিছানা, কাপড়-চোপড়ও। একদিকে শীত অন্যদিকে বৃষ্টিতে মুসল্লিরা পড়েন সাময়িক ভোগান্তিতে।

তবে বৃষ্টিতে ভোগান্তি হলেও তারা এটাকে আল্লাহর রহমত হিসেবেই মনে করছেন। মুসল্লিরা বলেন, এটাকে ভোগান্তি বললে আল্লাহ এর চেয়ে আরও ভোগান্তিতে ফেলতে পারে। তবে এই বৃষ্টিতে সড়কের কিছু ধুলাবালিও কমেছে।

কুড়িগ্রাম থেকে বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লি আবুল কালাম জানান, ভোর রাতে হালকা বৃষ্টি হয়। তাদের সামিয়ানার নিচে কোনও টিন বা পলিথিন সিট না থাকায় বৃষ্টিতে বিছানাসহ মালসামানা হালকা কিছু ভিজে গেছে। এছাড়া বৃষ্টিতে কিছুটা শীত বেড়েছে। এতে তিনি সাময়িক ভোগান্তির কথা স্বীকার করলেও এটাকে তিনি আল্লাহর রহমত হিসেবেই মনে করেন।

তার মতো মানিকগঞ্জ থেকে আগত মুসল্লি সফি উদ্দিন, নওগাঁ থেকে আগত আব্দুল মালেকও বললেন একই কথা। বৃষ্টির কারণে অনেকেই বিছানাপত্র গুটিয়ে পলিথিন দিয়ে মুড়ে ফেলায় পানির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। তবে বৃষ্টি হওয়াতে মাঠে ধুলা কমেছে। এতে পরিবেশ ভাল হয়েছে বলে জানান তারা।

তবে বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটির মুরুব্বী প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন বলেন, `ইজতেমা এলাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেও মুসল্লিদের বড় ধরণের কোনও সমস্যা হয়নি। প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে বছর পাঁচেক আগে নির্ধারিত সময়ের একদিন আগেই রাতে আখেরি মোনাজাত শেষ করতে হয়েছিল। তবে এ বৃষ্টিতে তেমন অবস্থার সৃষ্টি হয়নি। আল্লাহর রহমতে রোববার জোহর নামাজের আগেই কোনও এক সময় আখেরি মোনাজাত সম্পন্ন করা হবে।`

শনিবার বাদ ফজর ভারতের মাওলানা শওকত আলীর বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের দ্বিতীয় দিনের বয়ান। তার বয়ান তরজমা করেন বাংলাদেশের মাওলানা নুরুর রহমান। আজ বাদ আসর বয়ান মঞ্চ থেকে পড়ানো হবে যৌতুকবিহীন বিয়ে। এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম দফার দ্বিতীয় দিনে ১২১টি যৌতুকবিহীন বিয়ে সম্পন্ন হয়। আজও যৌতুকবিহীন বিয়ের জন্য ইতোমধ্যে প্রায় অর্ধশত দম্পতির নাম তালিকাভুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইজতেমার এক মুরুব্বী।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।