ঘর ধুলোবালি মুক্ত রাখতে
শীতের সময়টাতে আর যা কিছুর অভাব হোক, ধুলোবালির মোটেই অভাব হবে না! আপনার প্রিয় ঘরদোর, শখের আসবাবপত্র আজ পরিষ্কার করলেন তো কাল দেখবেন আবার তাতে ধুলোর রাজত্ব জমে আছে। তাই বলে তো আর ঘর পরিষ্কার না করে থাকা চলে না। বরং পরিবারের সবার সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার জন্য ঘরদোর পরিষ্কার রাখা খুব জরুরি-
১. দরজা-জানালায় মোটা পর্দা ঝুলিয়ে দিন। ধুলোবালি ঘরে ঢোকার সুযোগ কম পাবে।
২. ঘরের মেঝেতে ধুলোবালি জমলে তা শুধু ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার করলেই চলবে না। পরিষ্কারের পর কাপড় ভিজিয়ে মুছে নিতে হবে। আর কাপড়টি ভেজাতে হবে ডেটল কিংবা স্যাভলনযুক্ত পানিতে। এতে ঘরের মেঝে পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি জীবানুমুক্তও হবে।
৩. আপনার বাসায় যদি কার্পেট থাকে তাহলে সেই কার্পেটও নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। কার্পেট পরিষ্কারের জন্য ব্রাশ ব্যবহার করা যেতে পারে। নিয়মিত ব্রাশ দিয়ে কার্পেট পরিষ্কার করলে ধুলোময়লা জমার সুযোগ পাবে না।
৪. আসবাবপত্রে যেসব ধুলোবালি জমে সেগুলো অনেকেই ভেজা কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করে থাকেন। এটা একদমই ঠিক নয়। কারণ ভেজা কাপড় দিয়ে আসবাবপত্র পরিষ্কার করতে গেলে সেগুলোর রং নষ্ট হয়ে যেতে পারে। সেজন্য মোরগের পালকের তৈরি ঝাড়ু ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলো বেশ মোলায়েম। বাজারে খুব অল্প দামেই এসব ঝাড়ু কিনতে পাওয়া যায়।
৫. শোপিস কিংবা কাঁচের অন্যান্য জিনিসপত্র মোছার জন্য বাজারে বিভিন্ন প্রকার তরল জিনিস পাওয়া যায়। এগুলো দিয়ে মুছে নিলে শোপিস অনেক দিন ধরে পরিষ্কার থাকে।
৬. গদিওয়ালা আসবাব পরিষ্কার করাটা একটু ঝামেলার কাজ বটে। তবে সহজ উপায়ও আছে। গদিওয়ালা আসবাব পরিষ্কারের জন্য ভ্যাকুয়াম পরিষ্কারক ব্যবহার করতে পারেন।
৭. ঘর সাজানোর জন্য যেসব কৃত্রিম ফুল বা ফুলের গাছ রাখা হয়, সেগুলোতে জমতে পারে ধুলো ময়লা। তাই সপ্তাহে কমপক্ষে একদিন এগুলো পরিষ্কার করতে হবে। আর এসব পরিষ্কারের নিয়ম হলো শ্যাম্পু বা ডিটারজেন্ট পানিতে মিশিয়ে সেই পানি দিয়ে এসব ফুল বা ফুলের গাছ ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে।
৮. টেলিভিশনের স্ক্রিন, বইয়ের আলমারি এসব শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে নিতে হবে। রেফ্রিজারেটর পরিষ্কারের জন্য ডিটারজেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। তবে সেটা অবশ্যই সাবধানে।
৯. কম্পিউটার, প্রিন্টার বা এই জাতীয় অন্যান্য জিনিস মোছার ক্ষেত্রেও শুকনো কাপড় ব্যবহার করুন। আর মোছার সময় খেয়াল রাখুন, যেন কোনোভাবেই কোনো কিছুতে জোরে চাপ না লাগে।