সামুদ্রিক মৎস্য নীতিমালার খসড়া অনুমোদন


প্রকাশিত: ০১:২১ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০১৫

সমুদ্রে মৎস্য সম্পদ আহরণ, সংরক্ষণ, উৎপাদন বৃদ্ধিসহ সামগ্রিক মৎস্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় জাতীয় সামুদ্রিক মৎস্য নীতিমালা খসড়া চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করেছে।  বৃহস্পতিবার  মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হকের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সামুদ্রিক নীতিমালার এই অনুমোদন দেয়া হয়।

অনুমোদিত জাতীয় সামুদ্রিক মৎস্য নীতিমালাটি শিগগিরই মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে উপস্থাপন করা হবে বলে মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বৈঠকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ঐতিহাসিক সমুদ্র বিজয়ের পর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ, সংরক্ষণ, উৎপাদন বৃদ্ধি, অন্যান্য জলজ সম্পদসহ জীববৈচিত্র্যকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণের পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের জীবন ও জীবিকা নির্বাহ এবং ব্যাপক কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাতীয় সামুদ্রিক মৎস্য নীতিমালা প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়।

আরো জানানো হয়, দেশের দ্বিতীয় রপ্তানি আয়ের খাত মৎস্য সম্পদের প্রায় পুরোটারই যোগান আসে উপকূলীয় অঞ্চল ও সামুদ্রিক উৎস থেকে। বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় ও সামুদ্রিক একচ্ছত্র অর্থনৈতিক এলাকায় মৎস্য আহরণে নিয়োজিত প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার মৎস্যজীবী পরিবারের কমপক্ষে ১৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষের জীবিকা নির্বাহ হয়। এ সম্পদের ব্যাপ্তি উপকূলীয় বিশাল জনগোষ্ঠীর জীবিকায়নের নিরাপত্তাবলয় অতিক্রম করে খাদ্য নিরাপত্তা, বিশেষ করে পুষ্টি জোগানে সারাদেশে বিস্তার ঘটে।

এছাড়া, উপকূলীয় ও সামুদ্রিক অঞ্চলে মৎস্য আহরণ ও ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন সহায়ক কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিসহ ক্ষুদ্রায়তন মৎস্য শিল্পে মহিলাদের ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হয় বলেও জানানো হয়।

বৈঠকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সচিব শেলীনা আফরোজা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (মেরিটাইম) সচিব রিয়ার এডমিরাল মো. খুরশিদ আলমসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। -বাসস

আরএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।