পরিবেশ মেলায় লাখ টাকার পাখি


প্রকাশিত: ০২:২১ পিএম, ৩১ জুলাই ২০১৬

অ্যামাজন পাখি। দাম লাখ টাকারও বেশি। বিদেশি এ ধরনের নানা রঙের পাখি চাইলেই পেতে পারেন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ মেলায়।

মেলায় গেলে চোখে পড়বে এমন অনেক দামি পাখি। একই সঙ্গে বাসা বিভিন্ন বৃক্ষরাজি দিয়ে সাজাতে চাইলে সব ধরনের উপকরণ রয়েছে মেলায়। পরিবেশপ্রেমিরা মেলা পরিদর্শনের পাশাপাশি খেতে পারেন মানসম্মত সব খাবার। দেশের অন্যতম প্রতিষ্ঠান মেলায় স্থাপন করেছে তাদের স্টল। যেখানে সব কিছুই পাওয়া যাবে সুলভ মূল্যে।

বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পাশে রোববার থেকে শুরু হয়েছে পরিবেশ মেলা। চলবে পাঁচদিন। জাতীয় বৃক্ষমেলা ও পরিবেশ মেলা একসঙ্গেই শুরু হয়েছে। বৃক্ষমেলা মাসব্যাপী চললেও পরিবেশ মেলা চলবে পাঁচদিন। রোরবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ মেলার উদ্বোধন করেন।

Amajon-Bird

মেলা প্রাঙ্গণে দেখা যায়, পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন উপকরণ নিয়ে পসরা সাজিয়েছে ৬৮টি স্টল। হবি অ্যান্ড নেচার নামে একটি প্রতিষ্ঠানে রয়েছে নিজ বাসাবাড়িকে প্রাকৃতিক পরিবেশের আদলে সাজিয়ে তোলার নানা অফার।

স্টলটিতে দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের ছোটবড় বিদেশি পাখি বিক্রির জন্য রাখা হয়েছে। তাহসিন রহমান আবির নামে এক পাখিপ্রেমি এ প্রতিষ্ঠানটির মালিক।

পরিবেশ মেলায় পোষা পাখি কেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এতে বিস্ময়ের কিছু নেই। এসব পাখি মূলত বিদেশ থেকে আনা ক্যাসকো বার্ড বা পোষা পাখি। যার খাঁচাতেই জন্ম, খাঁচাতেই বড় হওয়া। আইনে এসব পালনে কোনো বাধা নেই।

তিনি বলেন, অনেকে আছেন ঘরে পাখি পোষতে চান, এক্ষেত্রে বনের পাখি ধরে খাঁচায় রাখেন। কিন্তু এসব পাখি বনের নয়। তাই পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নয়। এছাড়া যে কেউ নিজ ঘর, বাড়ি বা বারান্দা সাজাতে চান, তাদের সব ধরনের লজেস্টিক সাপোর্ট দেয়া হয়।

Amajon-Bird

জানা গেছে, অ্যামাজন পাখি ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ান সান কনিওর দাম ৮ থেকে ১০ হাজার, ককাটেল ৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। 

রাব্বি নামে এক দর্শনার্থী জানান, বৃক্ষমেলার পাশে আলাদাভাবে সাজানো হয়েছে পরিবেশ মেলা। এটা ভালো। একসঙ্গে দুটিই দর্শনের সুযোগ রয়েছে। মেলায় বন্ধুদের নিয়ে এসেছি। ভাবছিলাম খাওয়ার কোনো কিছু পাওয়া যাবে না। কিন্তু প্রাণ কোম্পানির একটি স্টল এখানে পেয়ে আমরা বেশ খুশি।  

জানতে চাইলে প্রাণের স্টলে উপস্থিত সহকারী ম্যানেজার জাকির হোসেন বলেন, প্রাণ বরাবরই মানসম্মত পণ্য প্রস্তুত করে, যা পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে তৈরি। মেলায় অংশ নেয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো পরিবেশ প্রেমিদের কিছু সেবা দেয়া। এছাড়া পরিবেশবন্ধব উপায়ে যে পণ্য প্রস্তুত তা সবার কাছে তুলে ধরা।  
 
উল্লেখ্য, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ ঘেরাও করে আয়োজন করা হয়েছে এ মেলা। আছে ৯০টি স্টল। এসব স্টলে চলছে পরিবেশের ওপর তথ্যসেবা। সবার জন্য সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উন্মুক্ত মেলা।  

এমএ /এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।