কারা ফটকে স্বজনদের অপেক্ষা
কেরানীগঞ্জের নবনির্মিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার শুক্রবার সকাল থেকে বন্দী স্থানান্তর শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত ৫০০০ এর অধিক বন্দী ইতোমধ্যে কেরানীগঞ্জে পাঠানো হয়েছে। কারা গোয়েন্দা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার বা আজ শুক্রবার যে সব বন্দীর জামিনে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল, সেসব বন্দীর স্বজনরা নাজিম উদ্দীন রোডের কারাগারের সামনে অপেক্ষা করছেন। কিন্তু তাদের জামিনের ব্যাপারে সদুত্তর পাচ্ছেন না তারা।
মাদক মামলায় উত্তর খান থানায় গ্রেফতার হওয়া আসামি রানা দেওয়ানের (২৮) বড় বোন নাজনিম কারাগার সংলগ্ন শাহী মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন। তিনি বলেন, আমার ভাইয়ের গতকাল জামিন হওয়ার কথা থাকলেও বন্দী স্থানান্তর করার কারণে ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে। সকাল ৯ টা থেকে এখানে অপেক্ষা করছি কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারছে না। শুধু পুলিশ এখান থেকে আমাদের দাঁড়াতে দিচ্ছে না।
কলাবাগান থানার আসামি তমাল হোসেন বাবুর বোন জানান, আমার ভাইয়ের আজ জামিনের কথা থাকলেও কারো সঙ্গে কথা বলতে পারছি না। সে এখন এই কারাগারে নাকি কেরানীগঞ্জের নবনির্মিত কেন্দ্রীয় কারাগারে তাও বুঝতে পারছি না। যোগাযোগের জন্য কর্তৃপক্ষের কেউ কোন কথা বলছেও না। বারবার পুলিশ শুধু আমাদের এ স্থান থেকে সরিয়ে দিচ্ছে।
এদিকে দায়িত্বরত কারাগার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যাদের জামিন হয়েছে সেসব বন্দীদের একসঙ্গে রাখা হয়েছে। তাদের এই কারাগার নাকি কেরানীগঞ্জের নবনির্মিত কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ছাড়া পাবে তা মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।
স্থানান্তরকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তাজনিত কারণে কারাগার এলাকায় প্রবেশের চারদিকের পথ অর্থাৎ চানখাঁরপুল, বংশাল, চকবাজার ও বেগমবাজারে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয় বন্দী স্থানান্তর। সকালের সূর্যোদয়ের পরপরই শুরু হয় বন্দী স্থানান্তর।
গত বছরের জুন, নভেম্বর এবং চলতি বছরের এপ্রিল ও জুন মাসে আসামিদের স্থানান্তরের কথা উঠলেও নানা কারণে পেছানো হয় এই প্রক্রিয়া। অবশেষে আজ শুক্রবার ২৯ জুলাই বন্দীদের স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
নতুন এই কারাগারটি প্রায় ১৯৪ একর জায়গার নিয়ে নির্মিত হয়েছে। এশিয়ার সর্বাধুনিক ও বৃহত্তম এই কারাগার এটি। এর ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৬ হাজার।
এআর/এএস/জেএইচ/এমএস