বিএনপিই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের মদদদাতা : সংসদে প্রধানমন্ত্রী
রাজধানীর কল্যাণপুরের ঘটনায় বিএনপির বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপির শর্তে সাধারণ মানুষের কাছে মনে হবে তারাই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের মদদদাতা।
বুধবার জাতীয় সংসদে এমপি ডা. দীপু মনির এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপির যে সমস্ত বক্তব্য আসছে, তাতে খুব স্বাভাবিকভাবেই মনে হয় তারা (বিএনপি) একটা শর্ত দিচ্ছেন এটা করেন তা না হলে সন্ত্রাস বন্ধ হবে না, জঙ্গিবাদ বন্ধ হবে না। সাধারণ মানুষের কাছে মনে হবে তারাই (বিএনপি) সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের মদদদাতা। শুধু তাদের (বিএনপি) শর্তটা মানলেই জঙ্গিবাদ বন্ধ হয়ে যাবে। তাদের কথাবার্তায় এটাই প্রতীয়মান হয়।’
এ সময় ‘যারা এদের (জঙ্গি) উৎসাহিত করবে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে’ বলেও হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দল, যে রাজনৈতিক দলটির জন্ম হয়েছিলো হত্যা-ক্যু ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর। মার্শাল ল’ অর্ডিন্যান্স করে জামায়াতের মতো একটি দলকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। যে নামেই যে আসুক না কেন যখন খোঁজ নেয়া হয় এরা কোন জায়গায় পড়েছে, কোন কলেজে পড়েছে, কোন দল করেছে তখনই কিন্তু জানা যায় এরা কোন দল করেছে। এদেরকে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জঙ্গি-সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বৈশ্বিক সমস্যা। অগ্নি-সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ করে আমরা দেশের পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলাম। ১ জুলাইয়ের ঘটনা দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। এটাও ঠিক সারা বিশ্বব্যাপী- এ ধরনের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। যারা এই ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে দেখা যাচ্ছে, ইসলাম পবিত্র শান্তির ধর্মের নাম ব্যবহার করে হামলা করা হচ্ছে। অর্থাৎ ইসলামকে একটা সন্ত্রাসী ধর্ম হিসেবে পরিচিত করানোর মাধ্যমে হেয় করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘কারা তাদের মদদদাতা, অর্থদাতা এবং প্রশিক্ষণদাতা। কারা তাদের মাথায় এ ধরনের উদ্ভূত চিন্তা জোগাচ্ছে বা তাদের উৎসাহিত করছে। সেটাই হচ্ছে দুশ্চিন্তার বিষয়।’
এইউএ/জেএইচ/এবিএস