মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরাই জঙ্গি-সন্ত্রাস নির্মূল করবে
প্রশিক্ষিত বাহিনীর মাধ্যমে জঙ্গিবাদের মদদদাতাদের গ্রেফতরের দাবি জানিয়েছে ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ সংগঠন।
সংগঠনটির নেতারা বলেন, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা যুদ্ধাপরাধীদের দোসরদের এ অপচেষ্ঠা যেকোন মূল্যে প্রতিহত করবে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরাই এদেশ থেকে জঙ্গি-সন্ত্রাস নির্মূল করবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শনিবার সংগঠনের এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে এ দাবি জানান তারা।
মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ ‘জঙ্গি, সন্ত্রাস, গুপ্ত হত্যা ও উগ্র সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর অপতৎপরতা : রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মসূচির আয়োজন করে।
নেতারা বলেন, যারা এদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, দেশের গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বিশ্বাস করে না তারাই যুব সমাজকে বিভ্রান্ত করে এদেশে জঙ্গিবাদের চাষাবাদ করতে চাচ্ছে।
তারা আরো বলেন, সাম্প্রতিক জঙ্গি-সন্ত্রাসী ঘটনাগুলোকে বিচ্ছিন্নভাবে না দেখে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পর্যায়ে করে দেখতে হবে। এদেশ থেকে চিরতরে জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে এর মদদদাতাদের অবিলম্বে গ্রেফতার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটির নেতারা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের অর্জিত বাংলাদেশকে একটি গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বের কাছে জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। এই অপশক্তি একের পর এক গুপ্ত হত্যা চালিয়ে বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্য সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ঠেরও ষড়যন্ত্র করছে। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোও এরই ধারাবহিকতায় সংঘটিত হয়েছে।
তারা বলেন, সকলের ঐক্যবদ্ধ ও সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানানোর দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবেই, জয় হবে শুভশক্তির। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে পারিবারিক সচেতনতা ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা প্রয়োজন।
সংগঠনের সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদুজ্জামান শাহীনের পরিচালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন মঞ্চের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক মিয়া, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ড. মমতাজ উদ্দিন মেহেদী, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. কাজী সাইফুদ্দিন, সংগঠনের সহ-সভাপতি এফ আর সাগর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ রনি, দফতর সম্পাদক আহমাদ রাসেল, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হাসান (এমরান), ক্রীড়া সম্পাদক সৈয়দ দিদারুল ইসলাম, গোলজার হোসেন, শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া ইমন, আলমগীর হোসেন, মো. শামীম, বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুল হক, আইনজীবী নেতা ওয়াহিদুজ্জামান মাশুক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নেতা সাইফুল ইসলাম।
এইচএস/জেএইচ/আরআইপি