হজ গমনেচ্ছুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকাদান শুরু

আসন্ন হজকে সামনে রেখে নিবন্ধিত হজ গমনেচ্ছুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে রাজধানীসহ সারাদেশের সরকারি হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন কার্যালয় ও সচিবালয় ক্লিনিকে এ স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হচ্ছে।

এদিকে, প্রাক-নিবন্ধন ক্রমিক নম্বর সনদ নিয়ে এসব জায়গায় হাজির হচ্ছেন হজ গমনেচ্ছুরা। চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে স্বাস্থ্য সনদ প্রদানের পাশাপাশি প্রত্যেককে দুই ধরনের (ম্যানেনজাইটিস ও ইনফ্লুয়েঞ্জা) টিকা প্রদান করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. খাজা আবদুল গফুর জাগো নিউজকে জানান, প্রথমদিনে ঢামেক হাসপাতালে ৭৬ জন হজ গমনেচ্ছুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকাদান সম্পন্ন হয়েছে। ঢামেক হাসপাতালে চার হাজার টিকা সরবরাহ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এছাড়া হাজিদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পৃথক স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রথমদিনে তুলনামূলকভাবে হজ গমনেচ্ছুর সংখ্যা কম ছিল। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে প্রতিটি হাসপাতালে ভিড় বাড়বে।

ঢাকা জেলা ও মহানগরীর হজযাত্রীরা যে সকল সরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকা নিতে পারবেন সেগুলো হলো- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক), স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট, ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, মুগদা, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, ফুলবাড়ীয়া ও বাংলাদেশ সচিবালয় ক্লিনিক, ঢাকা।

এছাড়া অন্যান্য জেলার হজযাত্রীরা বিভাগীয় শহরে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা শহরে সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকা নিতে পারবেন।

এদিকে, কেন্দ্রসমূহে হজযাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষান্তে ম্যানেনজাইটিস/ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নিয়ে সংগৃহীত স্বাস্থ্যসনদ বিমানবন্দরে প্রদর্শনের নিমিত্তে নিজ হেফাজতে রাখতে হবে। পরিচালক (হজ) ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল জাগো নিউজকে বলেন, হজ গমনেচ্ছুরা প্রাক-নিবন্ধন ক্রমিক নম্বর সনদ নিয়ে নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে যাবেন। স্বাস্থ্যসনদ সংগ্রহ শেষে নিজেদের কাছে সংরক্ষণ করবেন। হজ অফিস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে হজ ক্যাম্পে রিপোর্ট করতে চিঠি পাওয়ার পর স্বাস্থ্যসনদ নিয়ে উপস্থিত হবেন। এর আগে তাদের হজ ক্যাম্পে আসার কোনো প্রয়োজন নেই।

উল্লেখ্য, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জনের হজে যাওয়ার অনুমোদন হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে বাধ্যতামূলকভাবে স্বাস্থ্যসনদ সংগ্রহ ও টিকা নিতে হবে।

এমইউ/আরএস/পিআর