সমুদ্র সম্পদ বেহাত হওয়ার আশঙ্কা প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশের গভীর সমুদ্রে সম্পদ আহরণের উদ্যোগ না নিলে তা বেহাত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘আমরা যদি আগামী ৫ বছরের মধ্যে এই সম্পদ আহরণ না করি তাহলে এগুলো হাতছাড়া হবার ভয় আছে। কাজেই আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে চাচ্ছি।’
বুধবার সকালে রাজধানীর ফার্মগেটের বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০১৬ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে (সমুদ্রে) যেমন খনিজ সম্পদ পাওয়া যাবে আবার খাদ্য সম্পদও প্রচুর আছে। যারাই আসুক আমরা তাদের সম্পদ আহরণের সুযোগ দিতে চাই। অন্তত আমরা সমুদ্র সম্পদ আহরণ শুরু করতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে মৎস্য সম্পদ উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, বাজারজাত এবং বিদেশে রফতানির ক্ষেত্রে গুণগত মান বজায় রাখার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমুদ্রসীমা আইন করে গিয়েছিলেন এবং তারই ভিত্তিতে আমরা এই সমস্যার সমাধান করে সমুদ্রসীমা অর্জন করতে সমর্থ হয়েছি। এখন এই সমুদ্রসীমাকে আমাদের কাজে লাগাতে হবে। এখানে বহুমুখী সম্পদ রয়েছে।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘ব্লু ইকোনমি’র ওপর আমরা জোর দিয়েছি। সরকার ইতোমধ্যে সমুদ্রে মৎস্য সম্পদ জরিপ-গবেষণা সম্পন্ন করার জন্য ‘আর ভি মিন সন্ধ্যানী’ নামে একটি জরিপ জাহাজ ক্রয়ের পাশাপাশি আরো বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসলে গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণের তেমন কোনো অভিজ্ঞতা আমাদের নেই। অনেকেই বলেন, গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণ করবেন কিন্তু কাউকেই আমরা ঠিক তেমন আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে আসতে দেখছি না। অথচ যারা ব্যবসা-বাণিজ্য করতে চান, তারা জানেন যে, আমরা যে অঞ্চলটা পেয়েছি সেখানে বিশাল মৎস্য ভাণ্ডার রয়েছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছিল, চারটি কোম্পানি এসেছে। যারাই আসুক আমরা তাদের দিতে চাই। কারণ, আমরা যদি ৫ বছরের মধ্যে এই সম্পদ আহরণ না করি তাহলে এগুলো হাতছাড়া হবার ভয় আছে। কাজেই আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে চাচ্ছি।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হকের সভাপতিত্বে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, জাতীয় সংসদ নেতা, সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা, এনজিও কর্মকর্তা, বিদেশি কূটনীতিক, উন্নয়ন সহযোগী দেশের প্রতিনিধি, মৎস্য অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং মৎস্য, পোল্ট্রি ও প্রাণিসম্পদ সম্পর্কিত ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরএস/আরআইপি