অনুদান ও পুরস্কৃতের বিধান রেখে যুবকল্যাণ তহবিল বিল পাস


প্রকাশিত: ০৪:০১ পিএম, ১৯ জুলাই ২০১৬

নিবন্ধিত যুব সংগঠনকে প্রকল্পভিত্তিক অনুদান ও সামাজিক ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য যুবকদের পুরুস্কৃত করার বিধান রেখে যুবকল্যাণ তহবিল আইন ২০১৬  সংসদ পাস করেছে।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবারের বৈঠকে বিলটি পাস হয়।

তবে বিল পাস হওয়ার পর বিভিন্ন অনুচ্ছেদে পরিমার্জন ও সংশোধন নিয়ে সংসদের লবিতে সাংবাদিকদের কাছে বিল পাসের ক্ষেত্রে বিধি লংঘনের অভিযোগ করেছেন সরকারি ও বিরোধী দলের অনেক সদস্য।

যুবকল্যাণ তহবিল আইন ২০১৬ বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার। এর আগে বিল দু’টির ওপর আনীত বাছাই কমিটিতে প্রেরণ, জনমত যাচাই ও সংশোধনী প্রস্তাবসমুহ কণ্ঠভোটে সংসদে নাকচ হয়ে যায়।

উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদালতের রায়ে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী আইন ২০১১-এর প্রেক্ষিতে মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী ১৯৮৫ সালে জারিকৃত এ অধ্যাদেশের আবশ্যকতা বিবেচনা করে সংশোধন ও পরিমার্জনক্রমে বাংলা ভাষায় নতুন আইন আকারে প্রণয়নের নির্দেশানা দেয়া হয়।

যেহেতু যুব কল্যাণ তহবিল হতে অনুদানপ্রাপ্ত যুব সংগঠনসমুহ বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যুবদের বেকার সমস্যা নিরসনপূর্বক তাদের প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছে। তাই যুব সংগঠনের কার্যক্রম বৃদ্ধি বেকার যুবগোষ্ঠীকে আত্মকর্মী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পৃষ্ঠপোষকতা দান ও সার্বিক উন্নয়নের মূল ধারায় যুবদের অধিকতর সম্পৃক্ত করার উদ্দেশ্যে নতুনভাবে আইন করা প্রয়োজন।

এদিকে, বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হলেও বিলের বিভিন্ন অনুচ্ছেদে পরিমার্জন ও সংশোধন নিয়ে সরকারি ও বিরোধী দলের অনেক সদস্যই সাংবাদিকদের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

 তারা জানান, বিলের সংশোধনী কমিটিকে পাশকাটিয়ে বিলের ৮নং অনুচ্ছেদের যে সব পরিবর্তন আনা হয়েছে তা সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সুপারিশেও অন্তর্ভূক্ত ছিল না। স্থায়ী কমিটির রিপোর্টেও দেখা যায় এ সংক্রান্ত কোন সুপারিশ নেই।

জানা যায়, ৮৫’র অধ্যাদেশের ৮ অনুচ্ছেদের ‘ক’ তে বলা হয়েছে, যুব সংগঠন নির্বাচনের জন্য একটি সিলেকশন কমিটি থাকবে, যার চেয়ারম্যান হবেন  তহবিল পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান (মন্ত্রী) এবং সচিব হবেন কমিটির সচিব। কিন্তু সংশোধিত বিলে সিলেকশন কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সচিবকে। অথচ মূল কমিটির চেয়ারম্যান যথারীতি মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী/জনপ্রতিনিধিকে রাখা হয়েছে। আবার কমিটির সকল দায়বদ্ধতার জন্য সচিবকে দায়ী করার বিষয়টি বিলে পৃথকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি দলের একাধিক সংসদ সদস্য বলেন, কোন বিলে এ জাতীয় সংশোধনী পরিবর্তন আনতে হলে নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হয় এবং তা সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে চূড়ান্ত করে সংসদে উত্থাপিত হতে হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে তার ব্যত্যয় ঘটেছে।

এইচএস/এএইচ/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।