অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে হার্ডলাইনে যাচ্ছে সরকার


প্রকাশিত: ০৯:৪১ এএম, ১৭ জুলাই ২০১৬

সরকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে হার্ডলাইনে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

রোববার সচিবালয়ে আবাসিক এলাকায় অবৈধ ও বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম পর্যালোচনা সংক্রান্ত বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।  

মন্ত্রী বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। তবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ক্লিনিকগুলোকে সময় দেয়া হবে।  

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবে অবৈধ স্থাপনা সরাতে মন্ত্রিসভার বেধে দেওয়া ছয় মাসের তিন মাস পার হয়ে গেছে, বাকী সময়ে সম্পূর্ণ হবে কিনা- প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, তিন মাস বাকি আছে, প্রয়োজনে আরও তিন মাস বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে সব অবৈধ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হবে।
 
তিনি আরো বলেন, অনেক আগেই প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য, তবে মানবিক বিষয় বিবেচনা করে স্লো করে কাজ করছিলাম। তবে কাজ বন্ধ হয়নি।

মন্ত্রী বলেন, আবাসিক এলাকায় যেসব অনাবাসিক ও বাণিজ্যিক স্থাপনা আছে সেগুলো উচ্ছেদ করতে চাই। তবে আমরা উচ্ছেদ করলে মালিকরা কোর্টে যায়। কোর্ট স্টে অর্ডার দেয়। সুতরাং এটা সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বন্ধ করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, জোন-২ (উত্তরা) এর মধ্যে তালিকাভুক্ত অবৈধ বাণিজ্যিক স্থাপনা রয়েছে ২১৫টি, যা আরও বাড়তে পারে। ৫৫টিকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে।  

জোন-৩ (মিরপুর) তালিকাভুক্ত অবৈধ বাণিজ্যিক স্থাপনা আছে ৫৮০টি।নোটিশ দেয়া হয়েছে ৭১টিকে।
 
জোন-৪ (গুলশান-বারিধারা) তালিকাভুক্ত অবৈধ বাণিজ্যিক স্থাপনা আছে ৫৫২টি। এর মধ্যে রেস্টুরেন্ট, অফিস, হোটেল, গেস্ট হাউজ, ক্লিনিক এবং স্কুল রয়েছে।  ৩০টিকে নোটিশ দেয়া হয়েছে।  

জোন-৫ (ধানমন্ডি-লালবাগ) ১৭৩টি তালিকাভুক্ত আছে, ৬০টিকে নোটিশ দেয়া হয়েছে।

জোন-৬ (মতিঝিল-খিলগাঁও) ১০৫টি অবৈধ স্থাপনা আছে। ৫৩টিকে নোটিশ দেয়া হয়েছে। তবে সব জোনেই অবৈধ স্থপানার সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এছাড়া প্রতিটি জোনেই উচ্ছেদের কাজ চলছে।  

এমইউএইচ/এসএইচএস/এএইচ/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।