গুলশান হামলা : গাছের আড়ালে লুকিয়ে প্রাণ বাঁচান এক জাপানি


প্রকাশিত: ০৭:০১ এএম, ১৪ জুলাই ২০১৬
ফাইল ছবি

গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে আট জাপানি বর্বরোচিত জঙ্গি হামলার শিকার হন। এদের মধ্যে সাতজনকে মেরে ফেলে জঙ্গিরা। গাছের আড়ালে লুকিয়ে নিজের প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন অপর একজন।

বেঁচে যাওয়া সেই জাপানি নাগরিকের নাম তামাওকি ওতানাবে। তিনি জাপান ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশন এজেন্সির (জাইকা) অধীনে ঢাকার মেট্রোরেল প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজে ঢাকায় এসেছিলেন।

হামলার সময় প্রাণে বেঁচে গেলেও জঙ্গিদের ছিটকে আসা গুলিতে আহত হন তিনি। এখনও সেই হামলার ক্ষত নিজের শরীরে ও মনে বয়ে বেড়াচ্ছেন ওতানাবে।

টোকিওর একটি হাসপাতালে শুয়ে জাপান পুলিশের কাছে সেদিনের সেই মর্মান্তিক ঘটনার কথা জানান তিনি। তার সেই রাতের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেছে জাপান টাইমস।

জাপান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ১ জুলাই গুলশানের বিখ্যাত হলি আর্টিসান বেকারিতে তিনিসহ অপর সাত জাপানি সবাই একসাথে সেখানে খাবার খেতে যান। তবে গোলাগুলি শুরু হলে দৌড়ে রেস্টুরেন্ট ভবনের বাইরে বাগানে গাছের আড়ালে লুকান তিনি। বাগানে ১২ ঘণ্টা কাটানোর পর ২ জুলাই ভোরে ওতানাবেসহ মোট ১৩ জিম্মিকে উদ্ধার করে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী। আহত ওতানাবে ঢাকায় চিকিৎসা নিয়ে ফিরে যান জাপানে। ৫ জুলাই জাপান সরকার তাকে টোকিও হাসপাতালে ভর্তি করে।

প্রাণ নিয়ে বেকারি থেকে বের হওয়ার কথা তিনি ভাবতে পারেননি। চারদিকে গুলির শব্দ আর চিৎকারে; তার বারবার মনে হচ্ছিল যে কোন সময় গুলির আঘাতে তিনি মারা যাবেন। বের হয়ে আসার সময় তার সঙ্গী কাউকে দেখেননি তিনি। পরে জানতে পারেন সেদিন তার সাত সঙ্গীকে গলা কেটে হত্যা করে জঙ্গিরা।

জাপান টাইমস জানায়, বুধবার (১৩ জুলাই) ওতানাবেকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি খুব শান্ত ছিলেন কিন্তু কিছুক্ষণ পরই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিসান বেকারিতে জঙ্গি হামলায় এক ভারতীয়, নয় ইতালীয়, তিন বাংলাদেশি এবং সাত জাপানি নাগরিক নিহত হন। এছাড়া বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তাও প্রাণ হারান সেই ঘটনায়। পরে ইসলামিক স্টেট (আইএস) ওই হামলার দায় স্বীকার করে।

এআরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।