সংসদে নিরাপত্তা জোরদার : হয়রানির শিকার বৈধরাও
রাজধানীর গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় সংসদে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঠিক নির্দেশনা ও প্রশিক্ষণ না থাকায় বৈধভাবে প্রবেশকারীদেরও হয়রানির মধ্যে পড়তে হচ্ছে।
এসব বাহিনীর সদস্যরা সংসদে প্রবেশের সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখালে ‘এগুলো কি’ ‘এ কাগজ দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করা যাবে না’ এভাবে বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছেন। ফলে সেখানকার চাকরিজীবী ছাড়াও সাংবাদিকরা বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন।
জানা যায়, জাতীয় সংসদ ভবনের নিরাপত্তা আরো জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া। এজন্য বুধবার সকালে পুরো সংসদ ভবন এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। সংসদ ভবনের প্রতিটি চেকপোস্ট সরেজমিনে পরিদর্শন করেন স্পিকার। সেখানে কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীদের খোঁজখবর নেন।
এসময় জাতীয় সংসদের সিনিয়র সচিব ড. মো. আব্দুল রব হাওলাদার, সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস কমোডর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, ডেপুটি সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস পুলিশ সুপার মো. সেলিম খান ও অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরিদর্শনকালে তিনি সংসদ ভবনে অননুমোদিত কোন ব্যক্তি বা গাড়ি যাতে প্রবেশ করতে না পারে সে বিষয়ে কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। এসময় তিনি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে কয়েকজন দর্শনার্থীর প্রবেশের বৈধতা যাচাই করেন এবং সংসদ সচিবালয়ের একজন কর্মকর্তার আইডি কার্ড প্রদর্শিত অবস্থায় না থাকায় তাকে ভর্ৎসনা করেন।
ভিভিআইপিদের প্রবেশ পথে (গলফ-৮) নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি করতে সিনিয়র সচিব ও সার্জেন্ট অ্যাট আর্মসকে নির্দেশ দেন ডেপুটি স্পিকার। সকল চেকপোস্টের প্রবেশ পথের গতিরোধক বাঁশকলগুলোকে ইলেক্ট্রিক করার পরামর্শও দেন তিনি। নিরাপত্তাকর্মীদের জন্য পর্যাপ্ত বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট সরবারহ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন তিনি।
এ বিষয়ে পরে জানতে চাইলে তিনি সংসদের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, সংসদ ভবনে প্রবেশমুখগুলোতে নতুন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। যারা সাংবাদিকদের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড সম্পর্কে জানেন না। তাই ওই কার্ড দেখানোর পরও প্রতিদিনই সংসদে প্রবেশে বাধা দেন তারা।
মনিপুরীপাড়ার গেট দিয়ে একজন সাংবাদিক প্রবেশের সময়ও বুধবার এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে সংসদের ডেপুটি সার্জেন্ট অ্যাট আর্মস সাদরুল আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, সবাইকে সময়মত ট্রেনিং দেয়া সম্ভব হয় না। এজন্য এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে।
সংসদের এক কর্মকর্তা জানান, তিনি চাকরি পাওয়ার পর থেকেই সংসদে বাইক নিয়ে প্রবেশ করলেও এখন বাধা দেয়া হচ্ছে। এজন্য প্রতিদিনই বাগ্বিতণ্ডা হয়। কিন্তু এই সংসদের পেসেজ ব্যবহার করেই বিভিন্ন বাহিনীর গাড়ি যায়। তখন বাধা দেয়া হয় না।
এইচএস/এসকেডি/এমএস