চোরাচালান রোধে কোস্ট গার্ডের জলযান কেনার প্রকল্প অনুমোদন
উপকূলীয় অঞ্চলের চোরাচালান, ডাকাতি, মাদক ও মানবপাচার প্রতিরোধ আরো গতিশীল করতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জন্য বিভিন্ন ধরনের ১৪টি জলযান ক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য ৪৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জন্য বিভিন্ন প্রকার জলযান নির্মাণ’ প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়া হয়। একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় মোট পাঁচটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়।
একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, একনেক সভায় মোট পাঁচটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ৭০০ কোটি ৮ লাখ টাকা। এর পুরো টাকাই সরকারি তহবিল থেকে জোগান দেয়া হবে।
তিনি বলেন, গত ২০ বছর ধরে উপকূলীয় অঞ্চলের চোরাচালান, ডাকাতি, মাদক ও মানবপাচার প্রতিরোধে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সংস্থাটির কাজ আরো গতিশীল করতে ৪৪৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের জন্য বিভিন্ন প্রকার জলযান নির্মাণ’ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
প্রকল্পটির আওতায় ১৪টি জলযান ক্রয়সহ বিভিন্ন সংখ্যক ভৌত স্থাপন নির্মাণ করা হবে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।
একনেক সভায় অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো- ৫২ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘জেলা সদর ও ব্যাটালিয়ন আনসার ও ভিডিপির ব্যারাকসমূহের ভৌত সুবিধাদি সম্প্রসারণ’ প্রকল্প।
৮৭ কোটি ৪৬ টাকা ব্যয়ে ‘আর্থসামাজিক অবকাঠামো বিভাগের ই-জুডিশিয়ারি পাইলট প্রকল্প এবং বেগম আমিনা মনসুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ’ প্রকল্প।
শিল্প ও শক্তি বিভাগের বিসিক শিল্প নগরী, ভৈরব (১ম সংশোধিত) প্রকল্প। এতে ব্যয় হবে ৭২ কোটি ৯১ টাকা।
এছাড়া ৪১ কোটি ৫৮ টাকা ব্যয়ে ‘ব্যালেন্সিং, মর্ডানাইজেশন, রিনোভেশন অ্যান্ড এক্সপানশন (বিএমআরই) অব দ্যা এক্সিসটিং ক্লথ প্রসেসিং সেন্টার অ্যাট মাধবদী, নরসিংদী (১ম সংশোধিত) প্রকল্প।
এমএ/এনএফ/এমএস