মিতু হত্যা মামলার দুই আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত


প্রকাশিত: ০৭:১০ এএম, ০৫ জুলাই ২০১৬

পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ আসামি রাশেদ ও নবী গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। পুলিশ এদের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ হিসেবে দাবি করে আসছিল।

মঙ্গলবার ভোরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ঠান্ডাছড়ি এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তারা নিহত হন বলে দাবি পুলিশের।

নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত রাশেদ ও নবীর মরদেহ উদ্ধার করে রাঙ্গুনিয়া থানায় নিয়েছে পুলিশ। তাদের দুজনের বাড়িই রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নে।

এদের মধ্যে নবী সরাসরি কিলিং মিশনে অংশ নিয়ে মিতুকে ছুরিকাঘাত করেন বলে আদালতে দেয়া দুই আসামির জবানবন্দিতে উঠে এসেছে। আর রাশেদ কিলিং মিশনের সময় ঘটনাস্থলে থেকে খুনিদের সহযোগিতা করেছিলেন।

কামরুজ্জামান বলেন, ‘রাশেদ ও নবী রাঙ্গুনিয়ার ঠান্ডাছড়ি এলাকায় অবস্থান করছে- এমন খবর পেয়ে
সেখানে অভিযান চালানো হয়। সেখানে গেলে আসামিরা আমাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে আমরাও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুড়ি। একপর্যায়ে রাশেদ ও নবী মারা যান।’

মিতু হত্যায় জড়িত সন্দেহে গত ২৯ জুন যে ক’জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সিএমপি তাদের মধ্যেও রাশেদ ও নবীর নাম ছিল।  

৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে গুলি করে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় মিতুকে। হত্যাকাণ্ডের পর বাবুল আক্তার বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় তিন ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে এই মামলার আসামি ওয়াসিম, আনোয়ার, অস্ত্র সরবরাহকারী ভোলা ও তার সহযোগী মনিরকে গ্রেফতার করেছে।

তবে এরই মধ্যে আলোচিত এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে জনমনে বেশ ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তার কারণ মূলত, গত ২৪ জুন গভীর রাতে মিতুর স্বামী বাবুল আক্তারকে বাসা থেকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ।

মিতু হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাব, সিআইডি, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিআই)।

জঙ্গিদমনে সাহসী ভূমিকার জন্য বাবুল বিভিন্ন মহলে প্রশংশিত হয়েছিলেন। হত্যার ধরন ও বাবুলের জঙ্গিবিরোধী ভূমিকার কারণে, হত্যাকাণ্ডের পরপর ধারণা করা হচ্ছিল মিতু হত্যায় জঙ্গিদের হাত রয়েছে।

এ মামলায় গ্রেফতার দুই আসামি ওয়াসিম ও আনোয়ার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও কারা নির্দেশে তারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা এখনো স্পষ্ট নয়।  

আলোচিত এ মামলার নির্দেশদাতা হিসেবে বিভিন্ন সময় নাম এসেছে কামরুল সিকদার ওরফে মুছা নামে একজনের। মুছা কোথায় আছেন তা বলতে পারছে না পুলিশ। অন্যদিকে মুছার পরিবার বলছে, গত ২২ জুন সকালে বন্দর থানা এলাকার এক আত্মীয়ের বাসা থেকে পুলিশ মুছাকে আটক করে।

রাশেদ ও নবীর মতো মুছারও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আছে।

জীবন মুছা/এনএফ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।