রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তে অপারেশন চালাতে দেরি হয় : ডিএমপি কমিশনার


প্রকাশিত: ০৭:২২ এএম, ০৪ জুলাই ২০১৬

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, গুলশানে হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসীদের হামলা মোকাবেলা ও জিম্মিদের উদ্ধারে পুলিশ ও র‌্যাব অপারেশন চালানোর জন্য প্রস্তুত ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের কারণে অপারেশন চালাতে দেরি হয়ে যায়।

জঙ্গি হামলায় নিহত ডিএমপির সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম ও বনানী থানার ওসি মো. সালাহউদ্দিন খানের স্মরণে আয়োজিত শোকসভায় এ কথা বলেন তিনি।

আছাদুজ্জামান বলেন, ওই রাতে গুলশানের সার্বিক অবস্থা দেখে মনে হয়েছিল, নিজেদের জীবনের জন্য কোনো ব্যাপার না। এখন মানুষের জন্য চিন্তা করতে হবে। এতোগুলো মানুষকে যদি সন্ত্রাসীরা জিম্মির পর হত্যা করে পালিয়ে যায় তাহলে জাতির কাছে লজ্জার কিছু থাকবে না।

হ্যান্ডমাইক দিয়ে বলা হয়, পুলিশ তোমাদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলেছে। তোমরা আত্মসমর্পণ করো। নইলে তোমাদের গ্রেফতারের ব্যবস্থা করতে হবে।

এ ধরনের হামলা মোকাবেলায় পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকার বিষয়টিও উঠে আসে ডিএমপি কমিশনারের কথায়। তিনি বলেন, জিম্মিদের উদ্ধারের মতো ঘটনার পূর্ব অভিজ্ঞতা আমাদের নেই। পূর্ব অভিজ্ঞতা আমাদের থাকলে সেখানে আরো ভাল ব্যবস্থা গ্রহণ হয়তো সম্ভব ছিল।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, আমাদের পুরো বাহিনীর আগামীতে কী ধরনের প্রস্তুতি থাকতে হবে, কী কী করতে হবে, তা আজই ঠিক করতে হবে। দেরি করা যাবে না। এভাবে আমরা আর সহকর্মী হারাতে চাই না।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহম্মেদ, সকল অতিরিক্ত কমিশনার, ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও ডিএমপির বিভিন্ন বিভাগ, জোন ও থানার অফিসাররা উপস্থিত ছিলেন।

গত শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে গুলশানের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে হামলা চালায় জঙ্গিরা। রেস্টুরেন্টের ভিতরে যারা ছিলেন অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে ফেলে তারা। শনিবার সকালে অপারেশন থান্ডারবোল্ট নামে সেনা কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে শেষ হয় জিম্মি সঙ্কট, উদ্ধার করা হয় ১৩ জনকে। এই অভিযানে ছয় জঙ্গি নিহত হলেও আগেই তারা হত্যা করে দেশি-বিদেশি ২০ জিম্মিকে। জঙ্গিদের হামলায় নিহত হন দুই পুলিশ সদস্যও।  

এ ঘটনায় দুই দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে বাংলাদেশ।

জেইউ/এআর/এনএফ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।