অভিযান শুরুর আগেই হত্যা করা হয় ২০ জনকে


প্রকাশিত: ০৭:৫৯ এএম, ০২ জুলাই ২০১৬

রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরের হলি আর্টিসান রেস্টুরেন্টে সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মিদের উদ্ধারে অপারেশন ‘থান্ডারবোল্ট’ শুরুর আগেই ২০ জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা হয়। শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে সেনা সদর দফতরে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সেনা কর্মকর্তা নাইম আশরাফ চৌধুরী।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, অপারেশন শেষে রেস্টুরেন্টটি থেকে মোট ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া ছয়জন সন্ত্রাসী নিহত ও একজন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

নাইম আশরাফ চৌধুরী বলেন, সংবাদ পওয়ার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে পুলিশ কৌশল অবলম্বন করে সন্ত্রাসীদের যথেচ্ছ কর্মকাণ্ড থেকে নিভৃত করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাব যে সাহসিকতা, আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্ব প্রদর্শন করেছে তা অনন্য। তাদের এই অভিযানকালে দুজন সাহসী পুলিশ অফিসার শাহদাতবরণ করেন এবং ২০ জনের অধিক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আদেশ অনুযায়ী সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ পরিচালনা করা হয়। সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাব সম্মিলিতভাবে ‘অপরেশন থান্ডারবোল্ট’ পরিচালনা করা হয়। কমান্ডো অভিযানের মাধ্যমে শনিবার সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে অপারেশন শুরু করে ১২-১৩ মিনিটের মধ্যে সকল সন্ত্রাসীকে নির্মূল করে টার্গেট এলাকায় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা হয়। তবে অভিযানের সফল সমাপ্তি ঘটে সকাল সাড়ে ৮টায়।

তিনি আরো জানান, অভিযানের মাধ্যমে একজন জাপানি ও দুইজন শ্রীলঙ্কান নাগরিকসহ মোট ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। এছাড়া অভিযানে সাতজন সন্ত্রাসীর মধ্যে ছয়জন নিহত ও একজন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযান শেষে তল্লাশিকালে ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়, যাদের সবাইকে গত রাতেই (শুক্রবার দিবাগত রাত) হত্যা করা হয় এবং অধিকাংশকেই ধারালো অস্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করা হয়।

মরদেহগুলো প্রচলিত নিয়ম মেনেই সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। তাদের পরিচয় নিশ্চিতকরণে মোবাইল নম্বরে (০১৭৬৯০১২৫২৪) যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।



এইউএ/আরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।