ঈদে নৌ মন্ত্রণালয়ের ব্যাপক প্রস্তুতি


প্রকাশিত: ০৩:৫০ এএম, ২৮ জুন ২০১৬
ফাইল ছবি

ঈদে নৌ পথে ঘরে ফেরা মানুষের জন্য নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ঢাকার সদরঘাট, লালকুঠিঘাট, মাওয়া, আরিচা প্রভৃতি স্থান ইতোমধ্যে যাত্রীদের ঈদে ঘরে ফেরার সব কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে।

ঢাকা থেকে চাঁদপুরগামী লঞ্চ সদরঘাটের পাশে লালকুঠি ঘাট থেকে ছেড়ে যাবে। এখানে নতুন ২টি পন্টুন স্থাপন করা হয়েছে। কেবলমাত্র ঈদের জন্য সারা দিন ৩০টির মতো লঞ্চ যাতায়াত ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটি এখন থেকে সারা বছর চলবে।

এখন থেকে লঞ্চের টিকিট লঞ্চে বসে কাটতে হবে না। লঞ্চের টিকিট যাত্রীদের পাওয়ার সুবিধার্থে লঞ্চের বাইরে থেকে সংগ্রহ করতে হবে। সদরঘাটের বর্ধিত ভবনে ৩৫টি কাউন্টার থেকে এ টিকিট দেয়া হবে। এ থেকে বোঝা যাবে কতজন যাত্রী লঞ্চে আরোহণ করেছে।

এ ছাড়া রয়েছে বর্ধিত লঞ্চ। এগুলোকে বলা হয় স্পেশাল সার্ভিস। যে লঞ্চটি ঢাকা-বরিশাল নৌ রুটে ঢাকা থেকে বিকেলে ছেড়ে সকালে বরিশাল পৌছে সেই লঞ্চটি পুনারায় বরিশাল থেকে সকালে ছেড়ে আসবে। লঞ্চটি আগে বরিশাল থেকে বিকেলে ছেড়ে আসতো। এ লঞ্চটি ঈদের ৭দিন পূর্বে ও ঈদের ১০ দিন পর চলবে।

নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘আমরা চাই মানুষ নিরাপদে ঘরে ফিরে ঈদ করতে পারে। পথিমধ্যে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে এদিকে আমাদের সর্বোচ্চ দৃষ্টি রয়েছে। মাওয়া ঘাটে স্পিডবোটে অতিরিক্ত ভাড়া না নেয় এ জন্য পুলিশিং এর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে’।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরিন নৌ পরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান কমোডর মোজাম্মেল হক বলেন, ঈদে ঘরে ফেরা মানুষের জন্য মাওয়া-কাঠালবাড়ী ও আরিচা-দৌলদিয়া থেকে যাতায়াতের সব ব্যবস্থা সম্মন্ন করা হয়েছে। কাঠালবাড়ীর নদীতে ড্রেজিং কাজ চলছে। ২টি ঘাটে পাকিং ইয়ার্ড, টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আরিচা দৌলদিয়া ঘাট ও ঘাটের ভাঙ্গন ঠিক করা হয়েছে। পটুয়াখালী থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ আনা হয়েছে। এ বার দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কারণে ফেরীতে লোক পারাপার করা হবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরিন নৌ পরিবহন কার্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) পরিচালক (বাণিজ্য ) ফারুক আহম্মেদ জানান, প্রতি বছরের ন্যায় আমাদের সরকারি ৬টি স্টিমার ঢাকা থেকে ভায়া বরিশাল হয়ে মোড়লঘঞ্জ যথারীতি চলাচল করবে।

একে/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।