এসপি বাবুলকে চট্টগ্রামে নেয়ার খবর


প্রকাশিত: ০৫:৩৭ এএম, ২৫ জুন ২০১৬

পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারকে পুলিশ হেফাজতে চট্টগ্রামে নেয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে পুলিশের দায়িত্বশীল কারো কাছ থেকে বিষয়টি নিয়ে পরিষ্কার কোনো মন্তব্য পাওয়া যাচ্ছে না।

এরআগে শুক্রবার দিবাগত রাত রাত সোয়া ১২টার দিকে রাজধানীর কাকলী এলাকা থেকে বাবুলকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয় বলে জানা যায়। তাকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে কি না সেটিও পরিষ্কার করে কেউ বলছেন না।  

বিষয়টি নিয়ে রাত থেকেই বিভ্রান্তিকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, বাবুলকে ডিবিতে নেয়া হয়েছে তার শ্বশুরবাড়ি খিলগাঁও থেকে।   

জঙ্গিদমনে অভিযান চালিয়ে প্রশংসা কুড়ানো বাবুল আক্তারের স্ত্রীকে চলতি মাসের শুরুর দিকে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় ছুরিকাঘাত ও গুলি চালিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ হত্যাকাণ্ডে জঙ্গিদের হাত রয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে সন্দেহ ছিল পুলিশের।

বাবুলকে পুলিশ হেফাজেত নেয়ার খবর পাওয়া গেলেও কেন তাকে নেয়া হয়েছে বা স্ত্রীর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যও যদি নেয়া হয় তবে কেন গভীর রাতে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেসব বিষয় পরিষ্কার নয়।

পুলিশের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, শনিবার সকালে বাবুল আক্তারকে পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি আইজিপির সঙ্গে দেখা করেন। এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালও উপস্থিত ছিলেন।

কিন্তু কী বিষয়ে তাদের মধ্যে কথা বলা হয়েছে সে সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।

বাবুল আক্তারের স্ত্রী হত্যার ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে গোয়েন্দা পুলিশ, র্যাব, সিআইডি, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিআই)।

শুক্রবার রাতে যোগাযোগ করা হলে বাবুল আক্তারের শ্বশুর মোশাররফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘ডিএমপি সদর দফতরের পাশে পুলিশ কনভেনশন হলে একটি ইফতার পার্টিতে যোগদান করতে সন্ধ্যায় বের হয় বাবুল। শুনেছি আইজিপি তাকে ডেকেছেন। এরপর থেকে বাবুল আর বাসায় ফেরেনি।’

ডিবি বাবুল আক্তারকে আটক করেছে এমন খবর জানেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বাবুল আক্তারকে ডাকলে নিজেই যেতে পারতেন, তাকে এত রাতে কেন ডিবিতে নেয়া হবে। আর জিজ্ঞাসাবাদ করতে হলে রাতেই বা কেন? সঠিক তথ্য আমি জানি না। খোঁজ নিতে হবে।’

বাবুল আক্তারের শ্যালিকা শায়লা বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে কিছু জানি না। আবার বাবা হয়তো কিছু বলতে পারেন।’ এরপর তিনি মোবাইল ফোনের লাইন কেটে দেন।

জীবন মুছা/এনএফ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।