পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী


প্রকাশিত: ১২:৫২ পিএম, ০৩ জানুয়ারি ২০১৫

১২ রবিউল আউয়াল রোববার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। এ দিন আখেরী নবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সা.) এর জন্ম ও ওফাত দিবস। বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়সহ শান্তিকামী প্রত্যেক মানুষের কাছে দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দিবসটি উপলক্ষে মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
 
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তাঁর বাণীতে বলেছেন, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (স.) -এর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয় ও অনুকরণীয়।

তিনি আরও বলেন, মহান আল্লাহ সমগ্র বিশ্বজগতের রহমত ও শান্তির দূত হিসেবে হযরত মুহাম্মদ সাল্লালাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ জগতে প্রেরণ করেন। তিনি ছিলেন তাওহীদের প্রচারক, রিসালাতের ধারক ও বাহক এবং সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ রাসূল। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘হে নবী! আমি তোমাকে পাঠিয়েছি সাক্ষী, সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে, আল্লাহর নির্দেশ সাপেক্ষে তাঁর দিকে আহবানকারীরূপে এবং উজ্জ্বল প্রদীপরূপে।

মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ আমাদের সকলের জীবনকে আলোকিত করুক, পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.)-এর দিবসে মহান আল্লাহর কাছে রাষ্ট্রপতি এ প্রার্থনা জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে এক বাণীতে বলেন, আজকের অশান্ত ও দ্বন্দ্ব-সংঘাতমুখর বিশ্বে প্রিয়নবী (সা.)-এর অনুপম শিক্ষা অনুসরণের মাধ্যমেই বিশ্বের শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, পাপাচার, অত্যাচার, মিথ্যা, কুসংস্কার ও সংঘাত জর্জরিত পৃথিবীতে তিনি মানবতার মুক্তিদাতা ও ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। অন্ধকার যুগের সকল আঁধার দূর করে সত্যের আলো জ্বালিয়েছেন। তিনি (বিশ্বনবী) বিশ্বভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, ন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠন এবং মানবকল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করে বিশ্বে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী এই পবিত্র দিনে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহ তথা বিশ্ববাসীর শান্তি ও কল্যাণ কামনা করেন।

বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এক বাণীতে বলেন, পৃথিবীর মুসলমানদের আবেগ-অনুরাগ আর উচ্ছাসে একাকার হয়ে মন-প্রাণ আকুল করার দিন ঈদে মিলাদুন্নবী। ‘আইয়ামে জাহেলিয়াত’-এর অন্ধকার যুগ থেকে মানবকূলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহ তায়লা এ পৃধিবীতে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) কে প্রেরণ করেন।

নিজ যোগ্যতা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও সীমাহীন দুঃখ-কষ্টের বিনিময়ে প্রিয় নবী যে জীবনাদর্শ রেখে গেছেন, তা অনুসরণ করে সমগ্র মুসলিম জাহানকে ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবকল্যাণে ব্রতী হওয়ার আহবান জানান রওশন এরশাদ।
 
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া তার বাণীতে বলেছেন, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মানব জাতির জন্য এক উজ্জল অনুসরণীয় আদর্শ। তিনি আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার যুগ দূর করে অত্যাচার ও জুলুম-নির্যাতন বরণ করে সত্য ও ন্যায়কে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।

বেগম জিয়া পবিত্র মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের মুসলিম ভাই-বোনদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শেষ নবী সাইয়েদুল মুরছালিন হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর জন্য অসংখ্য দুরুদ ও তাঁর প্রতি সালাম জানান।

বিএনপির চেয়ারপার্সন আল্লাহ রাব্বুল আল-আমিনের নিকট মহানবী (সাঃ) এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগের মহিমা আমরা সবাই যেন নিজেদের জীবনে প্রতিফলন ঘটাতে পারি এই প্রার্থনা করেন।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।