মাঠ পর্যায়ে দুর্নীতি কমানো একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ : নসরুল হামিদ


প্রকাশিত: ০৭:৫৫ এএম, ২১ জুন ২০১৬

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ২০২১ সালের অনেক আগেই দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা যে পরিমাণ অর্থনৈতিকভাবে মুক্তি চাচ্ছি তার জোগান দিতে পারবো। তবে মাঠ পর্যায়ে দুর্নীতি কমানো একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের উপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, আগামী দিনের জন্য বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। সেগুলো এখানে উল্লেখ করতে চাই। প্রাইমারি ফুয়েলের ব্যবস্থা করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। ইনোভেটিভ ফাইন্যান্সিং পরিচালনা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। ভবিষ্যতে দক্ষ জনশক্তি একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। গ্রাহক সেবা উন্নীত করা এবং মাঠ পর্যায়ে দুর্নীতি কমানোও একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ।

তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য শক্তি জনপ্রিয় করা এবং সঠিক সময়ে প্রজেক্ট শেষ করা আগামীতে আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে আমরা পাওয়ার এনার্জি কারিকুলাম শুরু করতে চাই। পর্যাপ্ত ইলেকট্রিক্যাল মাইনিং ইঞ্জিনিয়ার আমাদের প্রয়োজন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যায়ে এসব কোর্সের খুব অভাব। আমি অনুরোধ করবো, এসব জায়গায় যেন আমরা দৃষ্টি দিতে পারি।

মন্ত্রী আরো বলেন, গ্রাহক সেবা উন্নতি এবং দুর্নীতি কমানোর জন্য ট্রান্সমিশন ডিস্ট্রিবিউশন পেমেন্ট রিকয়ার বেসরকারিকরণ করলে আমরা অনেকটা দুর্নীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারব। আমাদের আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো- নবায়নযোগ্য শক্তি। কারণ আগামী বিশ্ব হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিশ্ব। এ ব্যাপারে আমাদের সচেতনা বাড়াতে হবে। স্থানীয় সামর্থ্য বাড়াতে হবে এবং কীভাবে স্বল্পমূল্যে জনগণ এই বিদ্যুৎ পেতে পারে, সেটা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
 
প্রতিমন্ত্রী বলেন, যারা পরিবেশবান্ধব ভবন নির্মাণ করছেন তাদের স্বল্পসুদে ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানাচ্ছি। বায়ু ফুয়েল আমাদের জ্বালানির একটি বড় জোগান হতে পারে। বিশ্বের অধিকাংশ দেশে এখন তারা পেট্রোলের পাশে বায়ু ফুয়েল ব্যবহার করছে।
 
অবশেষে তিনি কবিতার ছন্দে বলেন, সবাই মিলে গড়ব দেশ, এই তো সময় বাংলাদেশ।
 
এইচএস/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।