ছাত্রলীগের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী রোববার
বাঙালি জাতির বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ও সংগ্রামে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দানকারী ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ৪ জানুয়ারি রোববারবাঙালি জাতির বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ও সংগ্রামে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দানকারী ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ৪ জানুয়ারি রোববার।
‘জনগণের ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নের মডেল’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে এবার ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবাষিকী পালন করবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বাংলা, বাঙালীর স্বাধীনতা ও স্বাধীকার অর্জনের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশনায় ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের জন্ম।
উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও সর্বপ্রাচীন ছাত্র সংগঠন- বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৬৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
সংগঠনের দপ্তর সম্পাদক শেখ রাসেল জানান, ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে কেককাটা। রোববার সকাল ৬ টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এছাড়া রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের’ প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হবে।
প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সংগঠনটি প্রতিটি গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং চরম আত্মত্যাগের বিনিময়ে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ তার দীর্ঘ রাজনৈতিক পরিক্রমায় ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৫৪ সালের প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ৫৮-এর আইয়ুববিরোধী আন্দোলন, ৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬ সালে ৬-দফার পক্ষে গণঅংশগ্রহণের মাধ্যমে মুক্তির সনদ হিসেবে এই দাবিকে প্রতিষ্ঠা, ৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনা, ৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ জয়লাভ এবং ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে অসংখ্য নেতা-কর্মী সম্মুখসমরে অংশগ্রহণ করে পরাধীন বাংলায় লাল সবুজের পতাকার স্বাধীনতার বিজয় ছিনিয়ে আনতে অগ্রসেনানীর ভূমিকা পালন করে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মহান স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে অংশ নেয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করার পর ছিনতাই হয়ে যাওয়া বিজয় পুনরুদ্ধার ও বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার ১৭ মে দেশে প্রত্যাবর্তনের পর গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বীর সিপাহসালারের ভূমিকা পালন করে আসছে।