বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে


প্রকাশিত: ০৪:১৯ এএম, ০৩ জানুয়ারি ২০১৫

টঙ্গীর তুরাগতীরে ৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে দু`পর্বের বিশ্ব ইজতেমা। ১১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত। চারদিন বিরতি দিয়ে ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ময়দানের সার্বিক প্রস্তুতির কাজ শুরু করেছেন মুসল্লিরা। বিদেশি ক্যাম্পের কাজে নিয়োজিত জিম্মাদার জানান, ইজতেমা ময়দানের উত্তর-পশ্চিম কোনে বিদেশি মেহমানদের জন্য টিন দিয়ে তৈরি তাঁবু নির্মাণ করা হচ্ছে। ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের সুবিধার্থে ময়দানের চারপাশে কাঁচা-পাকা টয়লেট নির্মাণ করা হয়েছে। তাছাড়া স্থানীয় ভিআইপি মুসল্লিদের জন্য ময়দানের উত্তর পাশ্বে তাঁবু নির্মাণ করা হয়েছে।

ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের অবাধ চলাচলের জন্য তুরাগে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সদস্যরা পন্টুন সেতু তৈরির কাজ শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে বেশ কয়টি পন্টুন সেতু তৈরির কাজ প্রায় শেষের দিকে। বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটির সদস্য আবদুল কুদ্দুস বলেন, আল্লাহর মেহেরবানিতে ইজতেমা ময়দানের প্রস্তুতিকাজ ইতিমধ্যেই ৮০ শতাংশ সমাপ্ত হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারির মধ্যে ময়দানের সব কাজ শেষ হবে ইনশাল্লাহ।

সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। মুসল্লিদের যাতায়াতের জন্য থাকবে বিশেষ ট্রেন ও বিআরটিসির বিশেষ বাস সার্ভিস। এ ব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের মুসল্লিদের সার্বিক সুযোগ-সুবিধাসহ আনুষঙ্গিক কাজ সুনিশ্চিত করতে সরকারি পর্যায় থেকে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেন, অন্যান্য বারের মতো এবারও সেনাবাহিনী, র‌্যাব, পুলিশ, আনসার ও সাদা পোশাকে কয়েক হাজার আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মুসল্লিদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন।

টঙ্গী থানার ওসি মো. ইসমাইল হোসেন জানান, মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে মাঠে প্রবেশের জন্য ইতিমধ্যে রাস্তার ধারে ফুটপাতের অবৈধ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন হাসপাতাল, সাহায্য সংস্থা, এনজিও এবং বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন বিনামূল্যে মুসল্লিদের চিকিৎসা ও ওষুধ বিতরণ করবে বলে জানা গেছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।