জন্মনিবন্ধন ছাড়াই টাইফয়েড টিকা মিলবে উত্তর সিটিতে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪:০৭ পিএম, ০৮ অক্টোবর ২০২৫
ডিএনসিসির নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাহমুদা আলী

জন্মনিবন্ধন ছাড়াই টাইফয়েডের টিকা দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাহমুদা আলী। বুধবার (৮ অক্টোবর) গুলশান-২ এ ডিএনসিসির নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই তথ্য জানান তিনি।

স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, টাইফয়েড প্রতিরোধে ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত মাসব্যাপী ডিএনসিসির ১০টি অঞ্চলে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে। এ ১০ অঞ্চলে ১২ লাখ শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২১৮১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৭ লাখ ৬০ হাজার ৭৯০ জন ছাত্র-ছাত্রী এবং কমিউনিটির ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২৭৯ জন শিশুকে টাইফয়েড টিকা দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, ৯ মাস থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত শিশু-কিশোরদের জন্য এই টিকা বিনামূল্যে দেওয়া হবে। এ জন্য সরকারের নির্ধারিত ভ্যাকসিন নিবন্ধন পোর্টালে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। এ নিবন্ধন করার সময় শিশুদের জন্মনিবন্ধন নম্বর দিতে হয়। অন্যথায় নিবন্ধন সাবমিট হয় না এবং ভ্যাকসিন কার্ডও পাওয়া যায় না।

যেসব শিশুর জন্মনিবন্ধন নেই, তাদের ক্ষেত্রে করণীয় কী? এমন প্রশ্নের জবাবে মাহমুদা আলী জানান, নানা কারণে নগরের অনেক শিশুর জন্মনিবন্ধন করা হয়নি। অনেক এলাকার অভিভাবকরা নিবন্ধন করতে পারছেন না। তাই তাদের জন্য বলবো, শিশু-কিশোরদের নিয়ে সরাসরি নির্ধারিত কেন্দ্রে চলে যেতে। সেখানে থাকা ডিএনসিসির সংশ্লিষ্টরা তথ্য নিয়ে টিকা কার্ড বের করে দেবেন। এরপর তারা টিকা নিতে পারবে।

আরও পড়ুন
টাইফয়েড প্রতিরোধে অক্টোবরে দেশজুড়ে টিকাদান ক্যাম্পেইন
টাইফয়েডের সরকারি টিকার রেজিস্ট্রেশন করবেন যেভাবে
টিকাদান কর্মসূচিতে বাজেট হাজার কোটি টাকা

তিনি জানান, যেসব শিশু জন্মনিবন্ধন নম্বর দিয়ে টিকা কার্ড সংগ্রহ করবে তাদের টিকা সার্টিফিকেট হলুদ রঙের হবে। আর যেসব শিশু জন্মনিবন্ধন ছাড়া টিকা নেবে, তাদের সবুজ রঙের সার্টিফিকেট দেওয়া হবে।

জন্মনিবন্ধন ছাড়াই টাইফয়েড টিকা মিলবে উত্তর সিটিতে

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী। তিনি জানান, ১২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া মোট ১০ দিন টিকা দেওয়া হবে। আবার ১৩ অক্টোবর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী ইপিআই টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত মোট ১৮ দিন টিকা দেওয়া হবে।

এছাড়া ১ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত স্যাটেলাইট বা আউটরিচ ইপিআই কেন্দ্রগুলোতে টিকা দেওয়া হবে শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া। প্রতিটি টিমে দুই জন টিকাদান কর্মী ও তিনজন ভলান্টিয়ার কাজ করবে। ক্যাম্পেইনের সেশন শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলবে।

এমএমএ/এমআইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।