স্যাঁতসেঁতে নোংরা মাটিতে তৈরি হচ্ছে সেমাই


প্রকাশিত: ১২:৫০ পিএম, ১৩ জুন ২০১৬
ফাইল ছবি

কোনো ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই হঠাৎ চকবাজারে অভিযান চালালো ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। অনেকে ভেবেছিল অভিযান চলবে চকবাজারের ইফতার বাজারে। তবে এবার অভিযান চললো চকবাজারের সেমাইয়ের কারখানায়।

অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমান। প্রথমে যান সাজিদ ফুড প্রোডাক্টস নামে একটি সেমাইয়ের কারখানায়। কারখানার ভেতরের যে চিত্র ছিল তা দেখলে হয়তো অনেকেই সেমাই খাওয়া ছেড়ে দেবেন। দরজা দিয়ে ভেতরে ঢুকতেই চোখে পড়লো নোংরা স্যাঁতসেঁতে মাটিতে সেমাই তৈরির কাজ। শ্রমিকদের হাতে-পায়ে কিংবা মাথায় নেই কোন গ্লোবস। কারখানার দেয়ালগুলো কালো।

পরিবেশটা যাচ্ছেতাই, এককথায় অস্বাস্থ্যকর বললেই চলে। আর এসব পরিবেশে সেমাই তৈরি ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ আইনের লঙ্ঘন। আইনের ৫৩ ধারা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিকে দু’লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

প্রতিষ্ঠানটি সম্পর্কে ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমান বলেন, চকবাজার এলাকার এই প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে সেমাই তৈরি করে বাজারজাত করছিলো। তবে তাদের সেমাই তৈরি স্থানটি ছিল ময়লাযুক্ত নোংরা। সম্পূর্ণ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরির কারণেই তাদের ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

ডিএমপির এই অভিযানটি চলে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত।

সেমাইয়ের পর চলে মিছরি ফ্যাক্টরিতে অভিযান। নাম ডায়ামন্ড মিছরি ফ্যাক্টরি। ফ্যাক্টরির চিত্রও সেমাই কারখানার ব্যাতিক্রম নয়। চারপাশ ময়লাযুক্ত ও সম্পূর্ণ অস্বাস্থ্যকর। এখানেও আইনের লঙ্ঘন। তবে ফ্যাক্টরির মালিক বা ম্যানেজারকে না পাওয়ায় জরিমানা নয়, সরাসরি তা সিলগালা করা হয়।

একই অভিযানে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে চিনি বিক্রি করায় চকবাজারের সোহান এন্টারপ্রাইজকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভেজালবিরোধী এই অভিযান আগামীতেও চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন মশিউর রহমান।

এআর/এসএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।