রিউমর স্ক্যানারের প্রতিবেদন

টিশার্ট পরা ব্যক্তি নুরকে নন, অন্য কাউকে পেটাচ্ছিলেন

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:১৭ পিএম, ৩০ আগস্ট ২০২৫

রাজধানীর বিজয়নগরে শুক্রবার (২৯ আগস্ট) জাতীয় পার্টি ও গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর আহত হন। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া যে ভিডিওতে দেখা যায় লাল/খয়েরী শার্ট পরিহিত এক ব্যক্তি সিঁড়িতে বসে থাকা একজনকে পেটাচ্ছিলেন, মারধরের শিকার সেই ব্যক্তি নুর নন বলে নিশ্চিত করেছে রিউমর স্ক্যানার।

শনিবার (৩০ আগস্ট) এক পোস্টে এমনটাই জানানো হয় ফ্যাক্টচেকিং সাইট রিউমর স্ক্যানারের ফেসবুকে গ্রুপে।

ওই পোস্টে বলা হয়, লাল/খয়েরী শার্ট পরিহিত এক ব্যক্তি সিঁড়িতে বসে থাকা এক ব্যক্তিকে পেটাচ্ছিলেন- এমন একটি ভিডিওকে অনেকে নুরুল হক নুরকে সিভিল ড্রেসে কারো বেধড়ক পেটানোর ভিডিও বলে প্রচার করেছেন।

তবে বিভিন্ন লাইভ ও ভিডিও পর্যবেক্ষণ করে ওই ভিডিওতে মারধরের শিকার ব্যক্তি নুরুল হক নুর নন বলে নিশ্চিত হওয়া যায়।

এতে আরও বলা হয়, নুরুল হক নুরের ওপর সেনাবাহিনী ও পুলিশের ব্যাপক লাঠিচার্জ এর ফলে নুর-এর রাস্তায় লুটিয়ে পড়া এবং তাকে হাসপাতালে নেওয়ার মুহূর্ত পর্যন্ত বিভিন্ন লাইভ ও ভিডিও পর্যবেক্ষণ করে এটি নিশ্চিত হওয়া যায়।

পোস্টে উল্লেখ করা হয়, যৌথবাহিনী নুরুল হক নুরের ওপর আক্রমণ করলে নূর সিঁড়ির নিচে রাস্তার মধ্যে লুটিয়ে পড়েন এবং তারপরই কিছু নেতাকর্মী তাকে ঘিরে ধরে এবং তারা তাকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রচেষ্টা শুরু করেন। তারপর তাকে রিকশায় করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। লাঠিচার্জের শুরু থেকে নুরের লুটিয়ে পারা পর্যন্ত- এই পুরো সময়টার কোনো মুহূর্তে নুরুল হক নুর সিঁড়িতে বসতে পারেননি। তাই ঐ ব্যক্তি নুরুল হক নুর নন।

রিউমর স্ক্যানারের ফেসবুক গ্রুপে করা ওই পোস্টে বলা হয়, লাল শার্ট পরিহিত ওই ব্যক্তি কে সেটি নিয়েও জানার চেষ্টা করা হয়েছে। এক ভিডিওতে ওই ব্যক্তির ওপর সেনাবাহিনী সদস্যদের রাগ হতে দেখা যায়। ওই ব্যক্তির ওভাবে মারধরের কারণে এবং তাকে চিনতে না পারায় তাকে জেরা করে ওরকম রাগ প্রকাশ করে থাকতে পারেন। এ সময় ঐ ব্যক্তি নিজেকে পুলিশ দাবি করেন। এছাড়াও অন্য একটি ভিডিওতে ওই ব্যক্তিকে পুলিশের সঙ্গে দেখা গেছে এবং একটা সময় তাকে পুলিশের হেলমেট পরিহিত অবস্থাও দেখা গেছে। ফলে ওই ব্যক্তি পুলিশ সদস্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিষয়টি অধিকতর নিশ্চিত হয়ে পরবর্তীতে নিশ্চিত করা হবে।

এএমএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।