নকল ওষুধ তৈরির প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর


প্রকাশিত: ০৮:০৪ পিএম, ১২ জুন ২০১৬

বিশেষজ্ঞ দল নিয়ে সরেজমিন পরিদর্শনের পর সংসদীয় কমিটি  দুটি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ও ওষুধ তৈরির অনুমোদন বাতিলের সুপারিশ করলেও ওই দুটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ নিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। এ ঘটনায় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালককে ভর্ৎসনা করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদ ভবনে  রোববার  স্বাস্থ্য ও পরিববার কল্যান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির  বৈঠকেেএ র্ভৎসনা করা হয়। শেখ ফজলুল করিম সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কমিটির সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, আ ফ ম রুহুল হক, ইউনুস আলী সরকার, সেলিনা বেগম প্রমুখ অংশ নেন।

সংসদীয় কমিটির বিশেষজ্ঞ দল ৮৫টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে ভেজাল ওষুধ উৎপাদন ও মানসম্পন্ন ওষুধ প্রস্তুত করতে সক্ষমতা না থাকায় ২০টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করে প্রতিবেদন জমা দেয়। সংসদীয় কমিটি গত বৈঠকে প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে তা বাস্তবায়নের সুপারিশ করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। ২০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে টেকনো ড্রাগ রয়েছে।

বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা যায়, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর বেনহাম ফার্মাকে নতুন করে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রস্তুত করতে অনুমতি দিয়েছে। এ ছাড়া টেকনো ড্রাগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ পাঠিয়েছেন অধিদফতরের মহাপরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান।

বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে মোস্তাফিজুর রহমান বেনহাম ফার্মাকে দেয়া অনুমতিপত্র সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে দাবি করেন। এ সময় কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম প্রতিষ্ঠানটির অনুকূলে দেয়া অনুমতিপত্র উপস্থাপন করেন।

তিনি মহাপরিচালককে উদ্দেশ করে বলেন, একজন মহাপরিচালক কীভাবে একটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ নিয়ে পত্রিকায় প্রতিবাদ পাঠাতে পারেন?

বৈঠকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, যাচাই-বাছাই করে সঠিক মানের ওষুধ তৈরি করা ৪০টি প্রতিষ্ঠান রেখে বাকিগুলোর লাইসেন্স বাতিল করা যায় কি না, সে বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।

বৈঠকে কমিটির সুপারিশ করা ২০টি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স দ্রুত বাতিলের ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

মন্ত্রণালয় বলেছে, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে লাইসেন্স বাতিল করা হবে। ইতিমধ্যে ১৩টি প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলো এই বাতিল আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে স্থগিতাদেশ নিয়ে এসেছে। পাঁচটি প্রতিষ্ঠান হলো এভার্ট ফার্মা, বিকল্প ফার্মা, স্পার্ক ফার্মা, স্টার ফার্মা ও ট্রপিক্যাল ফার্মা।

এইচএস/এসকেডি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।