প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান অবতরণে বিলম্ব করায় সংসদে ক্ষোভ


প্রকাশিত: ০৮:২৬ এএম, ০৯ জুন ২০১৬

সৌদি আরব সফর শেষে দেশে ফেরার দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের ক্লিয়ারেন্স না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে আকাশে চক্কর দেয় এবং দেরিতে অবতরণ করে। এ ঘটনায় সংসদে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীকে সংসদে সুস্পষ্ট ব্যাখা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজী।

বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে তিনি এই দাবি করেন। তবে এ সময় অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন না বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। তবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সৌদি আরব সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানের বিজি (০৩৬) ফ্লাইটে ঢাকার আকাশে পৌঁছেন। সেদিন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের ক্লিয়ারেন্স না পাওয়ায় ৩১ মিনিট আকাশে চক্কর দিতে হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটিকে। কারণ নিয়ম অনুযায়ী এ ধরনের ফ্লাইট উড্ডয়ন-অবতরণের আগে এসএসএফ বিমানবন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে থাকেন। রানওয়ে পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে এসএসএফ সদস্যরা দেখতে পান সেখানে বেশ কিছু মেটালিক বস্তু পড়ে আছে। পরে এসএসএফ সদস্যদের তত্ত্বাবধানে এসব মেটালিক বস্তু সরিয়ে নেয়ার পর ফ্লাইটটি অবতরণের সংকেত বার্তা পাঠান ককপিটে। তারপর রাত ৮টার দিকে নিরাপদে অবতরণ করে বিমানটি।

সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রুস্তম আলী ফরাজী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সিকিউরিটি ফোর্স থাকে। তাদের এটা আগে দেখা উচিত ছিল। সিকিউরিটি ফোর্স থাকে তারা কি করে? বিমান কর্তৃপক্ষ কি করেছে? বিমানমন্ত্রী এখানে আছেন কি না, আমি জানি না। তাকে এ ব্যাপারে সুস্পষ্টভাবে বলতে হবে। এ ধরনের ঘটনা ঘটার পর কি ধরনের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল?এটা তাকে বলতে হবে।  সেখানে তো একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। প্রধানমন্ত্রী ওমরাহ করে এসেছেন। তার উপর আল্লাহর রহমত আছে বলেই হয়তো কোন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি। স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) বুঝতে পারল কিন্তু কন্ট্রোল টাওয়ার কি করছে?

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে এ ধরনের অবস্থা কেন? বিদেশের কোন দেশে এই ধরনের একটি ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা তদন্ত হয়ে রিপোর্ট হয়ে অ্যাকশন হত। কিন্তু আমাদের দেশে আজ তিন দিন হয়ে গেল, তার ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না। আমরা জানতে চাই।

কারা সেখানে মেটাল রেখেছিল কি ধরনের বস্তু রেখেছিল এবং তার জন্য কারা দায়ী। দায়ীদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটবে না, সে বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর কাছে জানতে চাই।

এরপর অধিবেশনের সভাপতি ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া ফরাজীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘ধন্যবাদ, মাননীয় সদস্য আপনি ঠিক বিষয়টি অবতারণা করেছেন। তবে আপনি এও দেখেছেন এই বিষয়টি নিয়ে দুটি তদন্ত কমিটি হয়েছে এবং একটি তদন্ত কমিটি একজন ব্যক্তিকে ক্লোজড করেছে। সুতরাং অ্যাকশন হয়নি এ কথা আপনি বলতে পারেন না।

এইচএস/এআরএস/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।