ধরা পড়লেই আশ্রয়কেন্দ্রে


প্রকাশিত: ০৬:০৪ এএম, ০৬ জুন ২০১৬

রাজধানী ঢাকাকে ভিক্ষুকমুক্ত করতে কূটনৈতিক ও দূতাবাসসহ ছয়টি এলাকাকে প্রাথমিকভাবে ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করেছে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। এসব এলাকা ভিক্ষুকমুক্ত রাখতে নিয়মিত ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হবে। অভিযান চলাকালে কোনো ভিক্ষুককে ভিক্ষারত অবস্থায় পাওয়া গেলে আটক করে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়াধীন বিভিন্ন সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেয়া হবে।

কূটনৈতিক ও দূতাবাস এলাকা ছাড়া দুই সিটি কর্পোরেশনের ভিক্ষুকমুক্ত এলাকাগুলো হলো- বিমানবন্দর, হোটেল রেডিসন, হোটেল সোনারগাঁও, হোটেল রুপসী বাংলা ও বেইলী রোড।

এদিকে, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আজ (সোমবার) সকাল থেকে ভিক্ষুকমুক্ত এলাকা ঘোষণার বিষয়টি অবহিত করতে মাইকিং করা হচ্ছে। সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির অদূরে সিএনজি থেকে এ সংক্রান্ত মাইকিং করতে দেখা গেছে।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও সমাজকল্যাণ অধিদফতরের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতি করছে। এমতাবস্থায় গুরত্বপূর্ণ বিভিন্ন এলাকা ও রাস্তাঘাটে ভিক্ষুকদের ভিক্ষাবৃত্তির দৃশ্যে বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে।

একটি বিশেষ মহল সুস্থ সবল মানুষকেও ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত করে আর্থিক ফায়দা লুটছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণে ভিক্ষুকমুক্ত করার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে ওই কর্মকর্তারা জানান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভিক্ষাবৃত্তির অভিশাপ থেকে হতদরিদ্র মানুষকে মুক্তি দিতে পুনরবাসনের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে সরকার। ভিক্ষাবৃত্তিকে নিরুৎসাহিত করতে সামাজিক সচেতনতামূলক সভা-সমাবেশ ও প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

এদিকে, দেশে আনুমাকিন ১০ লাখ মনুষ ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত আছেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় এদের মধ্যে শারীরিকভাবে সক্ষমদের কাজের ব্যবস্থা এবং শারীরিকভাবে অক্ষমদের প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসা, মুদি বা টং দোকানের ব্যবস্থা করে দেবে।

এমইউ/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।