অনলাইনের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে টিনএজাররা


প্রকাশিত: ০৪:৫৮ এএম, ২২ জুলাই ২০১৪

ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো সামাজিক যোগাযোগ সাইট ও মেসেজিং অ্যাপের কারণে টিনএজাররা রাত জাগছে। এ ধরনের সাইটগুলো প্রিয়জনদের সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে, এমনটাই ভেবে সেবাগুলো চালু করা হয়েছিল। কিন্তু অনেকে এসব সাইটে এখন আসক্ত হয়ে পড়ছে।

সম্প্রতি ভারতীয় টিনএজদের ওপর এক জরিপ চালিয়ে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে এসোকেম। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া

এসোকেম তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, ভারতের ৬০ শতাংশ কিশোর-কিশোরী প্রতিদিন প্রায় ১২৫টি মেসেজ চেক করে। নিয়মিতই এ চেক করা মেসেজের পরিমাণ বাড়ছে।

ভারতের অনেক কিশোর-কিশোরী রয়েছে, যারা রাত জেগে সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলো ব্যবহার করছে। এ ধরনের সাইটগুলো প্রিয়জনদের সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে আনতে সাহায্য করবে, এমনটাই ভেবে সেবাগুলো চালু করা হয়েছিল। কিন্তু অনেকে এসব সাইটে এখন আসক্ত হয়ে পড়ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, রাত জেগে যে কোনো কাজ করাই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। রাত জাগার কারণে পরের দিন স্কুল বা কলেজ থাকলে কিশোর-কিশোরীরা রাতে ঘুমানোর জন্য যথেষ্ট সময় পায় না। এতে করে একদিকে যেমন স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে, অন্যদিকে পড়ালেখার ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

জরিপের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, কিশোর বয়সীরা শুধু যে রাত জেগেই সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলো ব্যবহার করছে, তা নয়। দেখা যাচ্ছে খেতে বসেও সাইট ব্যবহার করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে পড়ালেখার সময়ও এটি ব্যবহার করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, কিশোর বয়সীদের প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোর কারণে তারা পর্যাপ্ত ঘুমাতে পারছে না। এ বিষয়ে সবচেয়ে বড় অবদান রাখতে পারেন অভিভাবকরা। কারণ একমাত্র তারাই পারেন বিভিন্ন বিষয়ে তাদের সন্তানদের সচেতন করে তুলতে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অভিভাবকরাও এ বিষয়ে সচেতন নন। তাই এ বিষয়ে অভিভাবকদেরও সচেতন হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।