রমজানে ভেজালমুক্ত ইফতারির দাবি


প্রকাশিত: ১০:৪২ এএম, ০১ জুন ২০১৬

পবিত্র রমজান মাসে বিষ ও ভেজালমুক্ত ইফতারির দাবি জানিয়েছে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা)-সহ ১৭টি পরিবেশবাদী ও সামাজিক সংগঠন। বুধবার চকবাজার শাহী মসজিদের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানায় সংগঠনগুলো।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রতি বছরই দেখা যায় রমজানে স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর রেল ইঞ্জিন, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার, মোটর যান, নৌ যান ও কলকারখানার পোড়া তেল ও মবিল মিশ্রিত তেল দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ইফতার সামগ্রী ভাজা হয়।

এছাড়াও একই তেল বার বার ব্যবহার করার ফলে তা বিষাক্ত হয়ে যায়। রাসায়নিক রং ও বিভিন্ন উপাদান মিশিয়ে ভোজ্য তেল তৈরি করা হয়। সেমাইয়ের ব্যাপক চাহিদা থাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই উৎপাদন এবং তাতে রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো হচ্ছে। খেজুরে মেশানো হচ্ছে ফরমালিন। এছাড়াও পঁচা-বাসীসহ বিভিন্নভাবে ভেজাল ও বিষাক্ত খাদ্যের ব্যাপকতা বেড়ে যায় রমজানে। এসব খাবার খেলে ক্যান্সার, কিডনি ও লিভারের জটিল রোগ সৃষ্টিসহ গর্ভস্থ শিশু প্রতিবন্ধী হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

বক্তারা আরো বলেন, পবিত্র রমজান মাস শুরু হতে আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। রমজান মাসকে সামনে রেখে বিভিন্ন খাদ্যপণ্য বিশেষ করে ইফতারিতে যে সমস্ত খাদ্যপণ্য বেশি ব্যবহৃত হয় সেগুলোর উৎপাদন, আমদানি, মজুতকরণ কার্যক্রম ব্যাপকভাবে চলছে। অসাধু শিল্পপতি, উৎপাদনকারী, কৃষক, ব্যবসায়ী, আমদানিকারক, মজুতদার, পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতা অধিক মুনাফার লোভে এসব খাদ্যপণ্যে ক্ষতিকর বিষাক্ত রাসায়নিক ও ভেজালের মিশ্রণ করে থাকে। যা আমাদের ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে এবং আগামী প্রজন্ম বিভিন্ন গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে বড় হচ্ছে।

আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এখনই বিষ ও ভেজালমুক্ত ইফতারি সামগ্রী নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সকলের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি।

এ সময় বক্তারা বিষ ও ভেজালমুক্ত ইফতারি সামগ্রী নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার মধ্যে সমন্বয় সাধনপূর্বক সমন্বিত বাস্তবসম্মত মনিটরিং ও এনফোর্সমেন্ট কার্যক্রম পরিচালনার দাবি জানান। একইসঙ্গে তারা বলেন, ২০১৩ সালে জাতীয় সংসদ কর্তৃক নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ প্রণয়ন করা হয়। আইনের আওতায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ গঠিত হলেও অদ্যাবধি কর্তৃপক্ষের বাস্তব কোনো কার্যক্রম পরিলক্ষিত হচ্ছে না। আইনটি বাস্তবায়নে জরুরিভিত্তিতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ, ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৫ দ্রুত বাস্তবায়ন করা জরুরি।

পবার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নাসফের সভাপতি ও পবার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান ময়না, গ্রিন মাইন্ড সোসাইটির সভাপতি আমির হাসান, গোলাম মোস্তফা লেন কিশোর সংঘের সভাপতি শেখ আলমগীর, পুরান ঢাকা নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।

এএস/একে/এবিএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।