গাবতলীতে চাপ নেই, ন্যায্য ভাড়ায় ঢাকা ছাড়ছেন যাত্রীরা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫৯ পিএম, ২৭ মার্চ ২০২৫

পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ। তবে গত কয়েক বছরের মতো এবারের ঈদযাত্রায়ও এখন পর্যন্ত বড় কোনো ভোগান্তির চিত্র দেখা যায়নি। অনেকটা স্বস্তিদায়ক আর আনন্দমুখর আবহে চলছে ঈদযাত্রা।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর গাবতলী আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, টার্মিনালে নেই চিরচেনা সেই ভিড়। যাত্রীর অপেক্ষায় কাউন্টারগুলোতে হাঁকডাক করছেন কাউন্টার মাস্টাররা।

বিজ্ঞাপন

দূরপাল্লার বাসে ডেকে ডেকে যাত্রী নিতে দেখা গেছে। কাঙ্ক্ষিত যাত্রীচাপ না থাকায় স্বস্তি নিয়ে ঢাকা ছাড়ছেন যাত্রীরা। অন্যদিকে, বিআরটিএ-এর নির্দিষ্ট পরিমাণে ভাড়া দিয়ে পরিবহন সেবা নিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট গন্তব্যের যাত্রীরা।

আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি দূরপাল্লার বাস কিছু সিট খালি নিয়েই গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছে। তবে অন্য বছরগুলোর মতো অতিরিক্ত ভাড়া নিতে দেখা যায়নি। সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় গন্তব্যে যেতে পারছেন যাত্রীরা।

পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ

ঝিনাইদহ সদরের যাত্রী শরিফুল হক। এর আগে পরিবারের সদস্যদের গ্রামের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার অফিস শেষ করে গাবতলী বাস টার্মিনালে এসেছেন। উদ্দেশ্য গ্রামের বাড়িতে ঈদ উদযাপন করা।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

শরিফুল ইসলাম বলেন, গাবতলী টার্মিনালে আগের মতো চাপ নেই। ভাড়াও বেশি রাখছে না। ভাড়ার নির্দিষ্ট যে চার্ট আছে সে অনুযায়ী ঝিনাইদহের ভাড়া ৭৫০ টাকা হয়। সেই ভাড়া দিয়েই টিকিট কেটেছি।

কাঙ্ক্ষিত যাত্রী না পেয়ে অনেক বাস মালিকেরা হতাশা প্রকাশও করেছেন। তাদের দাবি, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, চুড়াডাঙ্গা, ফরিদপুর ও মাগুরার যাত্রীরা পদ্মাসেতু হয়ে বাড়ি যাচ্ছেন। ফলে এসব যাত্রী গাবতলী টার্মিনাল বাদ দিয়ে যাত্রাবাড়ীসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত কাউন্টার ব্যবহার করছেন।

পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ

বিজ্ঞাপন

সৌহার্দ্য পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার স্বপন কুমার দাশ বলেন, যে প্রত্যাশা নিয়ে এবার এসেছি সে অনুযায়ী যাত্রী নেই। আমাদের অনেক বাসে সিট খালি যাচ্ছে। বিশেষ করে পেছনের ও ইঞ্জিন কভার অনেক সময় যাত্রী পায়। কিন্তু এবার সে পরিস্থিতি নেই।

অনেক যাত্রী আবার অনলাইনে টিকিট কেটে স্বস্তি নিয়ে ঢাকা ছাড়ছেন। শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার আমিনুল ইসলাম বলেন, যাত্রীর চাপ নেই। আপনারা নিজের চোখেই দেখতে পারছেন টার্মিনাল ফাঁকা। কাল-পরশু হয়তো কিছুটা চাপ বাড়তে পারে। নির্দিষ্ট ভাড়ায় পরিবহন করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

গত বছর ঈদে সেলফি পরিবহন ঢাকা থেকে আরিচা ঘাট পর্যন্ত ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করেছিল। এবার ১৮০ থেকে ২০০ টাকা ভাড়া আদায় করছে।

পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন ঘরমুখো মানুষ

সেলফি পরিবহনের কন্ডাক্টর জাবেদ আলী বলেন, আমরা এবার ন্যায্য ভাড়া নিচ্ছি। দরকার হলে যাত্রীদের জিজ্ঞেস করে যাচাই করতে পারেন।

বিজ্ঞাপন

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সার্বিকভাবে গাবতলীর যাত্রীরা এবার অনেক খুশি। গাবতলী সংলগ্ন সড়কে কাঙ্ক্ষিত জটলা না থাকায় বাসও নির্দিষ্ট সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে।

এমওএস/এমকেআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।