সিন্ডিকেটতন্ত্র থেকে একবারে মুক্তির চেষ্টা চলছে: লুৎফে সিদ্দিকী

সিন্ডিকেটের কারণে বাজার ঠিকভাবে কাজ করছে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী। তিনি বলেন, যেদিকে তাকাই সেদিকেই একটা শব্দ, সিন্ডিকেট। মার্কেট ফোর্স যেভাবে কাজ করার কথা, সেভাবে কাজ করছে না। আইনের ভেতরেই কিছু একটা করে রাখা হয়েছে। গতকাল সন্দ্বীপের ফেরি উদ্বোধন হলো, সেখানেও নাকি সিন্ডিকেট ছিল। আমরা সিন্ডিকেটতন্ত্র থেকে কীভাবে একবারে মুক্তি পাবো সেটিও ইকোনমিক রিফর্মের একটি অংশ। আর আমরা সেই চেষ্টাই করছি।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) কার্যালয়ে ‘এলডিসি উত্তরণ: কৃষিখাতে প্রভাব’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইআরএফ ও বাংলাদেশ অ্যাগ্রোকেমিক্যাল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বামা) যৌথভাবে এই সেমিনারের আয়োজন করে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সভাপতিত্ব করেন ইআরএফের সভাপতি দৌলত আকতার মালা এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
সিন্ডিকেট ব্যবসা, মন্ত্রণালয় সবখানে আছে উল্লেখ করে লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, তারা আইনের মধ্যে এমন কিছু ঢুকিয়ে রেখেছে, যেটা সিন্ডিকেটকে আইনসিদ্ধ করছে। এগুলোকে একবারে সংস্কার করতে হবে।
বাংলাদেশকে সিঙ্গাপুর-দুবাইয়ের মতো একটি হাব হিসেবে দেখার প্রত্যাশা করে লুৎফে সিদ্দিকী বলেন, আমাদের এখানে একটি হাব হওয়ার সুযোগ রয়েছে। কখনো ভারত ও চীনের মতো বড় দেশ হাব হতে পারবে না। সিঙ্গাপুর-দুবাইয়ের মতো আমরাও বড় বড় দেশগুলোর সমস্যা সমাধান করব। সেক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তি প্রক্রিয়াকরণের একটি হাব হতে পারে বাংলাদেশ। আর আমরা এখানে প্রসেসিং সেন্টার করতে পারি। হালাল মিট অবশ্যই করা যেতে পেরে।
প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ দূত বলেন, চট্রগ্রাম বন্দরকে আরও বেশি কার্যকর করতে হবে। আমরা প্রথমে দেখেছি, সরকারের ভেতরে ইজ অব ডুয়িং বিজনেস থাকে না। এক মন্ত্রণালয় আরেক মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়। আমরা এখন আন্ত:মন্ত্রণালয় কমিটি করেছি। কোন মন্ত্রণালয়ে কোন কাজ আটকে আছে আমরা সেখানে তা আলোচনা করি।
এনএইচ/এএমএ/এএসএম