প্রস্তুত হচ্ছে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান

পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান। প্রতিবারের মতো এবারও ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণের জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। এরই মধ্যে জামাতের জন্য জাতীয় ঈদগাহ মাঠে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সেখানে চলছে প্যান্ডেল তৈরির কাজ।
রোববার (২৩ মার্চ) জাতীয় ঈদগাহ মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, বাঁশের খুঁটি বসানোর কাজ শেষ পর্যায়ে। এখন চলছে মাঠের ত্রিপল টানানোর কাজ। মাঠের পানি নিষ্কাশনের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ড্রেন। মশা তাড়ানোর জন্য প্যান্ডেলের নিচে মশক নিধন কাজ চলছে। নারীদের জন্য পৃথক তিনটি গেট তৈরি এখনো বাকি।
কর্মরতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ত্রিপল টানানো শেষ হলে শুরু হবে ভেতরে চট ও কাপড় বিছানোর কাজ। দু-একদিনের মধ্যেই সাজসজ্জার কাজ শেষ হবে। সবশেষ ইমামের মেহেরাবের ধোয়া মোছার পর রং করার কাজ চলছে। এছাড়া মাঠের আশপাশে রং করা এবং ঝাড়ু দেওয়া চলছে।
জানা গেছে, মাঠের মধ্যে মিনার ও ইমামের মেহেরাব বরাবর উত্তর থেকে দক্ষিণ পাশ পর্যন্ত সবচেয়ে উঁচু বাঁশের খাটালসহ (খুঁটির সারি) মোট সাতটি খাটাল বসানো হয়েছে। পুরো মাঠে মোট ১৬টি খাটাল (খুঁটির সারি) বসানো হয়েছে।
প্যান্ডেলের কাজে নিয়োজিত শ্রমিক আইনাল জাগো নিউজকে বলেন, প্রতি বছরই আমরা প্যান্ডেল তৈরির কাজে থাকি। রোজার প্রথম সপ্তাহ থেকে ২৫-২৬ জন শ্রমিক কাজ শুরু করেছি। ১৫ রমজানের পর ধীরে ধীরে শ্রমিক বাড়তে থাকে। পরে প্রায় দেড় শতাধিক শ্রমিক কাজ করে এখন আবার শ্রমিক কমেছে।
বিগত বছরগুলোর মতো এবারও ঢাকা দক্ষিণ সিটির তত্ত্বাবধানে কাজ চলছে। এবার সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে জাতীয় ঈদগাহের প্যান্ডেল নির্মাণের টেন্ডার পেয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল হক অ্যান্ড সন্স। প্রতিষ্ঠানটির একজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাগো নিউজকে বলেন, আমার কাজ শুধু প্যান্ডেল নির্মাণ করা। ২৫ রোজার মধ্যেই আমরা প্যান্ডেল নির্মাণ শেষ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়ে কাজ করছি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. রাসেল রহমান জাগো নিউজকে বলেন, এবার জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত হবে। সে লক্ষ্যেই আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত ৮০ শতাংশ কাজ শেষ। ঈদের আগে অন্তত দু-একদিন হাতে রেখে মাঠের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে আগামী মঙ্গলবার সিটি করপোরেশনের প্রশাসক সার্বিক বিষয়ে পরিদর্শন শেষে সব তথ্য জানানো হবে।
জাতীয় ঈদগাহ মাঠসহ আশপাশে প্রায় অর্ধলাখ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন। এর মধ্যে সাড় পাঁচ হাজার নারীর জামাতে নামাজ পড়ার ব্যবস্থা থাকছে। জাতীয় ঈদগাহ মাঠে রাষ্ট্রপতি, উপদেষ্টা পরিষদ, কূটনৈতিক, সচিবসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ঈদ জামাতে অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। ময়দানে ৩৫ হাজার লোকের ধারণক্ষমতা রয়েছে। এর বাইরে আশপাশেও ব্যবস্থা রয়েছে।
আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনে সরকারি কর্মসূচি নির্ধারণের জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এফএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম