গুলশানে গুলিতে নিহত যুবকের বিরুদ্ধে ছিল ৬ মামলা

রাজধানীর গুলশানে সুমন (৩৩) নামে যে যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা ছিল। তিনি একটি সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্য ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল গুলশানের পুলিশ প্লাজার সামনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) এসএম নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, নিহত ব্যক্তির বিস্তারিত পাওয়া গেছে। তার নাম টেলি সুমন। তার বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা ছিল। সে-ও একটি গ্রুপের সদস্য। আন্তঃগ্রুপ কোন্দল থেকে হত্যা হতে পারে বলে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি।
হত্যাকারীদের শনাক্তে সিসি ক্যামেরার ফুটেজসহ বিভিন্ন প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হবে বলেও জানান অতিরিক্ত কমিশনার নজরুল ইসলাম।
এর আগে, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে গুলশানের পুলিশ প্লাজার পাশে ফজলে রাব্বী পার্কের কোনায় এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। পরিবারের অভিযোগ, ব্যবসায়িক বিরোধের জেরে সুমনকে হত্যা করা হয়েছে।
তারা জানায়, মহাখালী এলাকায় ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন সুমন। তবে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের হুমকির মুখে ব্যবসা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি।
সুমনের স্ত্রীর বড় ভাই মো. বাদশা মিয়া অভিযোগ করে বলেন, মহাখালী টিবি গেট এলাকায় ‘প্রিয়জন’ নামে একটি ইন্টারনেট ব্যবসা রয়েছে। সুমনের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ছিল।
নিহতের স্ত্রী মৌসুমী বলেন, সুমন ইন্টারনেটের ব্যবসা করতো। মহাখালী এলাকায় সংযোগ দিতো। বিরোধী পক্ষ নানা হয়রানি করে তাকে ব্যবসা ছাড়তে বাধ্য করেছে। সব লাইন কেটে দেয় তারা।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মারুফ আহমেদ জানান, সুমন পুলিশ প্লাজার উত্তর পাশের রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় কয়েকজনের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর পথচারীরা তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের পরে ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ডিবি ও র্যাব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
টিটি/এমকেআর/এমএস