সংস্কার নাকি নির্বাচন প্রশ্নে ঐকমত্য কমিশন চাপে নেই: আলী রীয়াজ

সংস্কার আগে নাকি নির্বাচন- এমন প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কোনো ধরনের চাপে নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি ও সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে সংসদ ভবনে অবস্থিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আলী রীয়াজ বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধান এই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস। সুতরাং চাপের কোনো প্রশ্নই আসে না। রাজনৈতিক দলগুলো বলবে, তাদের দায়িত্ব সুপারিশ তুলে ধরা। সেটার প্রক্রিয়াই চলছে। আমরা তাদের দেওয়া সুপারিশ নিয়ে আলোচনা করে সংস্কারের জন্য একটা জায়গায় যেতে চাই। সুতরাং আমরা চাপে নেই।
তিনি বলেন, সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে যখন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে মতামতের জন্য আমরা দিয়েছি, তারা অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে ক্ষেত্রবিশেষে সময় নিয়ে হলেও তারা তাদের সুচিন্তিত মতামত আমাদের জানাচ্ছে। ফলে আমি এই মুহূর্তে চাপের কোনো কিছু দেখতে পাই না।
আরও পড়ুন
- সংস্কার না হলে স্বৈরতন্ত্র মোকাবিলা সম্ভব হবে না: আলী রীয়াজ
- স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে এক বছর সময় প্রয়োজন: ইসি
- সুষ্ঠু ভোটের পূর্বশর্ত রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত প্রতিষ্ঠান: ইসি
- বাংলাদেশের সংস্কার কার্যক্রমে পূর্ণ সমর্থন কাতারের
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো থেকে এরই মধ্যে যেসব মতামত দেওয়া হয়েছে সেগুলো আমরা পর্যালোচনা করছি এবং আশা করছি যে বিভিন্ন বিষয়ে আমরা ঐকমত্যের জায়গায় আসতে পারবো। এর আগে যেসব বক্তব্য আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে শুনেছি, তাতে আশাবাদী হওয়ার কারণ যথেষ্ট রয়েছে। আমরা মনে করি এ বিষয়ে আমাদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় যেসব মতামত পাওয়া গেছে, তারা জনসম্মুখে যে কথাগুলো বলেছে, সেগুলোতে আশাবাদী হওয়ার যথেষ্ট পরিমাণ কারণ রয়েছে।
‘সবচেয়ে বড় কারণ দুটো। একটা হলো রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কারের ব্যাপারে কোনো রকম সংশয়-দ্বিধা নেই। রাজনৈতিক দলগুলো চায়, এখনকার যে পরিস্থিতি সেখান থেকে বেরিয়ে আসার পথ হচ্ছে সংস্কার। দ্বিতীয়ত, রাজনৈতিক দলগুলো এই সংস্কার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে চায়। তাদের দিক থেকে কোনোভাবে কখনই অসহযোগিতার তো প্রশ্নই ওঠে না, তারা সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে, করছে এবং অব্যাহত রেখেছে। ফলে আমি মনে করি এ দুটো কারণে অগ্রসর হবে। কতটা সময় লাগবে, অনেকেই প্রশ্ন করছেন, সেটা নির্ভর করছে যে আলোচনায় আমরা কীভাবে অগ্রসর হই। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ক্ষেত্রে যেভাবে অগ্রসর হওয়া যাবে, তাতে আমাদের লক্ষ্য স্বল্পতম সময়ে।’
তিনি আরও বলেন, পাশাপাশি যেটা আমি বারবার উল্লেখ করি, সেটা হচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সময়সীমা নির্ধারিত হয়েছে ১৫ জুলাই পর্যন্ত, আমরা এর মধ্যেই আমাদের কাজ সম্পন্ন করতে চাই।
এএএম/ইএ/জিকেএস