ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল কিনবে সরকার

দেশে খাদ্যের মজুত বৃদ্ধিতে ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৫০ মেট্রিক টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেয়।
ভারতের মেসার্স এস পাত্তাভী অ্যাগ্রো ফুডস প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এই চাল আনা হবে। প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম ধরা হয়েছে ৪২৯ দশমিক ৫৫ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে ৫০ হাজার টন চালের দাম পড়বে ২ কোটি ১৪ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ ডলার।
আরও পড়ুন
- বন্ধ মিনিকেট চাল উৎপাদন, দাম চড়া
- চালের বাজার সম্পর্কে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা
- রাজনৈতিকভাবে আমাদের দাস বানিয়ে রাখতে চায় ভারত: সাইফুল আলম খান
এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন বাসমতি সিদ্ধ চাল আমদানির প্রস্তাব উপস্থাপন করা হলে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি তা পর্যালোচনা করে অনুমোদন দেয়। ভারতের এমএস বগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট থেকে এই চাল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সেসময় প্রতি কেজি চালের মূল্য ধরা হয় ৫৩ টাকা ২ পয়সা। আর প্রতি মেট্রিক টন চালের মূল্য ৪৩৪ দশমিক ৫৫ মার্কিন ডলার ধরা হয়। এতে ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে মোট ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ১৭ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ ডলার।
এর আগে ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনামের এবং সিঙ্গাপুর থেকে চাল আমদানির অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। এর মধ্যে ভারত থেকে দুই দফায় ৫০ হাজার টন করে এক লাখ টন, পাকিস্তান ও সিঙ্গাপুর থেকে ৫০ হাজার টন করে এবং ভিয়েতনাম থেকে ১ লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়।
জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে চালের মোট চাহিদা ৩৯ দশমিক ৭৮ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে আন্তর্জাতিক উৎস থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৯ লাখ মেট্রিক টন। এরই মধ্যে ৬ দশমিক ৫০ মেট্রিক টন ক্রয় চুক্তি সম্পাদন হয়েছে।
এমএএস/ইএ