যৌথ অভিযান

কামরাঙ্গীরচর থেকে দেশীয় অস্ত্র-গুলি-ককটেল উদ্ধার, গ্রেফতার ১৩

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৪১ পিএম, ১৩ মার্চ ২০২৫

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে ৩০ রাউন্ড পিস্তলের তাজা গুলি, চারটি ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনীর একটি টিম।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেসন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ জানান। গত ১১ ও ১২ মার্চ কামরাঙ্গীরচর এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনাকালে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতাররা হলেন- মো. ইউনুস সরদার (৪০), মো. আলা আমিন (৩২), মো. আক্তার হোসেন (৩৪), কবির শেখ (৪৩), বাবুল ওরফে বাবু (৩০), বাবু (২৫), মো. আলম (২৫), মো. সজল (৩০), মো. মাসুদ (২৫), মোকসেদুল শামীম শান্ত ওরফে কাজিম শান্ত (২৮), মো. জহিরুল্লাহ রিপন (৫৬), মো. বিল্লাল হাসান ওরফে কাল্লু (৩০) ও মো. মাসুদ মিয়া (২০)।

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে ৩০ রাউন্ড পিস্তলের তাজা গুলি, চারটি ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনীর একটি টিম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

কামরাঙ্গীরচর থানার বরাত দিয়ে তালেবুর রহমান বলেন, কামরাঙ্গীরচর থানাধীন মুসলিমবাগ এলাকার বিআইডব্লিউটিএ এর ঠোঁটার মাঠ নামক স্থানে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মেলা আয়োজনের জন্য স্থানীয় দুটি পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ চলছিল। গত ১১ মার্চ বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ টেন্ডার ড্র করলে জনৈক পারভেজ ওরফে ছোট বাবু মাঠটি বরাদ্দ পায়। মাঠটি বরাদ্দ পাওয়ার পর ওইদিন রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে পারভেজ ওরফে ছোট বাবু ও তার আরও ৩০-৪০ সহযোগী মিলে মাঠের ঘাট এলাকায় একত্রিত হয়ে কীভাবে মাঠ পরিচালনা করবে সে বিষয়ে আলোচনা করছিল।

তিনি জানান, তখন প্রতিপক্ষ হাজী মনির চেয়ারম্যান গ্রুপ দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৩-৪টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং পারভেজ গ্রুপের চার সদস্যকে মারধর করে গুরুতর আহত করে। পরে চেয়ারম্যান গ্রুপ মুসলিমবাগ এলাকায় ফারুক মেম্বারের বাড়ির সামনে পুনরায় ৮-১০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং তার বসতবাড়ি ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় ফারুক মেম্বারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে ৩০ রাউন্ড পিস্তলের তাজা গুলি, চারটি ককটেল ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারসহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনীর একটি টিম

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

ডিসি তালেবুর আরও জানান, মামলা দায়েরের পর কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ ও যৌথবাহিনীর টিম অভিযান পরিচালনা করে হাজী মনির হোসেনের বাড়ির দক্ষিণ পাশে জনৈক নুর ইসলামের বাসার ছাদ থেকে চারটি ককটেল উদ্ধার ও তাদের গ্রেফতার করে। উদ্ধার ককটেকগুলো জনসাধারণের নিরাপত্তার স্বার্থে ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল টিম যথাযথ প্রক্রিয়ায় নিষ্ক্রিয় করেছে।

এছাড়া বুধবার ভোর আনুমানিক ৪টা ৫৫ মিনিটের দিকে হাজী মো. মনির চেয়ারম্যানের বাসা তল্লাশির সময় বাসার দ্বিতীয় তলায় অফিস কক্ষের আলমারির ড্রয়ার থেকে ৩০ রাউন্ড পিস্তলের অবৈধ তাজা গুলি, একটি ডেগার ও একটি ধারালো সুইচ গিয়ার চাকু জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মনির হোসেনের বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর থানায় অস্ত্র আইনেও একটি মামলা করা হয়েছে।

কামরাঙ্গীচর থানায় করা মামলায় গ্রেফতারদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

কেআর/এমকেআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।