‘দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করলে ধর্ষণ কমবে’

দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হলে ধর্ষণ, নারী ও শিশু নির্যাতন কমবে বলে মতপ্রকাশ করেছেন নারী অধিকার আন্দোলনের সভানেত্রী মমতাজ মান্নান। তিনি বলেন, একসময় বাংলাদেশে অ্যাসিড নিক্ষেপের প্রবণতা ছিল। কিন্তু দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের মাধ্যমে তা কমানো গেছে। ধর্ষকদের জনসম্মুখে সর্বোচ্চ শাস্তি দিত হবে।
নারী অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে দেশব্যাপী মাগুরার আট বছরের শিশুসহ অসংখ্য নারী-শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং দায়ীদের শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
মানববন্ধনে বিভিন্ন বয়স, শ্রেণি-পেশার কয়েকশ নারী অংশগ্রহণ করেন। এসময় তারা নারী অধিকার আন্দোলন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ, নির্যাতন ও ধর্ষণকারীদের, শাস্তি চাই শাস্তি চাই, নারী শিশুদের সুরক্ষা দিতে হবে দিতে হবে, ধর্ষকদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও, সন্ত্রাসীদের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও স্লোগান দিতে থাকেন।
সম্প্রতি আট বছরের শিশুর ওপর পাশবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে আর এতে তার জীবন তছনছ হয়ে গেছে। এই ঘৃণ্য কাজের প্রতিবাদ জানানোর জন্য নারী অধিকার আদায়ে সোচ্চার নারী অধিকার আন্দোলন এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছে।
তিনি বলেন, বহু প্রকারে, বহুদিন ধরে নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতন চলছে। বিচারহীনতা, বিচারপ্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রতা, অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে না পারায় এ ধরনের ঘৃণ্য কাজ বেড়েই চলছে।
আট বছরের শিশুটির সঙ্গে কৃত অপরাধের বিচারকাজ দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করে অপরাধীদের শাস্তি কার্যকর করবেন, আমরা এই আবেদন জানাচ্ছি। আসুন আমরা আমাদের বিবেককে জাগ্রত করি এসব অপকর্ম অত্যাচারের বিরুদ্ধে সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাই- যোগ করেন তিনি।
নারী ও শিশুদের জন্য একটি সুস্থ ও নিরাপদ ভুবন গড়ে তুলতে তারা ছয়টি দাবি জানান। নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে বিদ্যমান আইনের কার্যকর প্রয়োগ নিশ্চিত করা, দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে যথা সময়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা, বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচারকার্য পরিচালনা করা, শরিয়াহ আইনের মাধ্যমে এই নিকৃষ্ট কাজের বিচার করা যেতে পারে, নারী ও শিশুর প্রতি পাশবিক অত্যাচার দমনে কঠোর দণ্ডবিধি প্রয়োগ করা এবং এই দণ্ড প্রকাশ্যে কার্যকর করা যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অন্যায় কাজ করতে কেউ সাহস না পায়।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নারী অধিকার আন্দোলনের সহ-সভানেত্রী, ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক বিভাগীয় প্রধান নাঈমা মোয়াজ্জেম, সাধারণ সম্পাদক নূরুন্নাহার, লালমাটিয়া মহিলা কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আফিফা মুশতারী, বিশিষ্ট চিকিৎসক তাহেরা বেগম, ড. শারমিন ইসলাম, বিশিষ্ট লেখিকা নুরুন্নাহার খানম নীরু, সৈয়দা শাহীন আকতার, সাজেদা হুমাইরাসহ নারী অধিকারের নেতারা।
এসআরএস/এমআইএইচএস