বাংলাদেশে প্রাণসংশয় দেখা দেওয়ায় ভারতে পালিয়েছি
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুন মামলার প্রধান অভিযুক্ত নূর হোসেন বলেছেন ‘বাংলাদেশে প্রাণসংশয় দেখা দেওয়ায় ভারতে পালিয়ে এসেছি।’ পুলিশের প্রিজন ভ্যান থেকে নামিয়ে চব্বিশ পরগনার আদালতে নেওয়ার সময় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৩২মিনিটে তাকে আদালত প্রাঙ্গণে আনা হয়।
এ সময় তিনি জানান, শীঘ্রই তার স্বজনরা ভারতে আসবেন। তারা এসে তার (নূর হোসেনের) জামিনের জন্য আবেদন করবেন। তিনি দাবি করেন নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক চার্জশিট দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ছয় কোটি টাকা যাদেরকে দেওয়া হয়েছে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ড যাচাই করলেই বেরিয়ে আসবে আসলে কার সঙ্গে তাদের লেনদেন হয়েছে।’ ১৪ দিন কারাবাস শেষে দুই সহযোগীসহ তৃতীয় দফায় এদিন দুপুরে তাকে কলকাতা উত্তর শহরতলীর জেলা উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়।
এর আগে সকালে দমদম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নূর হোসেন, খান সুমন ও অহিদুজ্জামানকে নিয়ে কড়া নিরাপত্তায় আদালতের উদ্দেশে রওনা দেয় পুলিশ।এদিনও নূর হোসেনের হয়ে কোনো আইনজীবী আদালতে আইনি লড়াইয়ে অংশ নেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার আইনজীবীরা। তবে খান সুমনের হয়ে আদালতে আইনি লড়াই করবেন তারক দাস নামের এক আইনজীবী।
প্রসঙ্গত, ১৪ জুন সন্ধ্যায় নূর হোসেন গংদের দমদম এয়ারপোর্টসংলগ্ন কৈখালির একটি বহুতল আবাসিক ভবনের চারতলার ফ্ল্যাট থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে।
বাগুইআটি থানার পুলিশ নূর হোসেনদের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে ভারতে প্রবেশের মামলা করে। এর পর তাদের ৮ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে ২৩ জুন তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালতকে জানানো হয়, বাংলাদেশে সাত খুনের মামলাসহ একাধিক অপরাধে নূর হোসেন অভিযুক্ত। বাংলাদেশ সরকার তার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। এর পর নূর হোসেন অবৈধভাবে কলকাতায় আশ্রয় নেন।