জিহাদকে উদ্ধারে গাফিলতি ছিল, মামলা করবো: নাসির


প্রকাশিত: ০১:৪৭ পিএম, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪

ছেলে জিহাদকে উদ্ধার কাজে গাফিলতি ছিল এমন অভিযোগ এনে সংশ্লিষ্ট সবার বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিন।

শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, রেলওয়ের কলোনি মতো এই ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় কেন ওয়াসার এমন একটি পাইপলাইনের মুখ খোলা রাখা হয়েছিল? পাইপটি খোলা না থাকলে জিহাদ সেখানে পড়তো না। এজন্য তিনি সরকারের কাছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষেরও বিচার দাবি করেন।

তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাতের বেলায় এসে বললেন ওই পাইপের ভিতরে কোনো কিছু নেই।

যদি জিহাদ পাইপটির মধ্যে নাই পড়বে তাহলে জিহাদকে কিভাবে কোথা থেকে উদ্ধার করা হলো? প্রশ্ন রাখেন তিনি।

তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, কোনো বাবাই চায় না তার ছেলে মারা যাক। এ ধরনের ঘটনা কোনো বাবা মা’ই সহ্য করতে পারেন না। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর কখনো না ঘটে সেজন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

তিনি ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার কাজে গাফিলতির পরিচয় দিয়েছে দাবি করে বলেন, ফায়ার সার্ভিস আন্তরিকতার সাথে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়নি। ঘটনার পরপরেই ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আসলেও উদ্ধার অভিযান শুরু করতেই অনেক দেরি করেছেন।

শেষ পর্যন্ত তারা ব্যর্থ হয়ে উদ্ধার অভিযান বন্ধ ঘোষণা করলেন ঠিক তার কয়েক মিনিট পরেই তার ছেলে জিহাদকে উদ্ধার করে বেসরকারি লোকজন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, বেসরকারি লোকজন তো তবুও তার ছেলেকে উদ্ধার করতে পেরেছে ফায়ার সার্ভিস তো তা না করেই চলে যাবার কথা জানায়।

তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিস তার ছেলেকে উদ্ধার করতে পারে নি বরং অনেক সময়ক্ষেপন করেছে। এ জন্য তিনি ফায়ার সার্ভিসের সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন। মামলা তিনি ওয়াসা ও রেলওয়ের বিরুদ্ধেও করবেন।

তিনি বলেন, পুলিশ আমাকে রাতেই থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ আমাকে জানায়, মিডিয়ার লোকজন তোমাকে অনেক ডিস্টার্ব করবে। তুমি থানাতেই থাকো। তোমার ছেলে আত্মীয়ের বাড়ি গেছে বা কেউ কিডন্যাপ করেছে কিনা আর খোঁজ নাও। পুলিশ ছেলে উদ্ধারের সময় পর্যন্তও সেখানে থাকতে দেননি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

জিহাদের জানাজা নামাজ সম্পর্কে জানতে চেইলে তিনি বলেন, শাজাহানপুর রেলওয়ে কলোনির মাঠে প্রথম জানাজা নামাজ হবে। এরপর শরিয়তপুরে গ্রামের বাড়িতে আরেকটি জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে জানাজার নামাজের সময় এখনো নির্ধারণ করা হয়নি বলে জানান তিনি।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।