জানের বদলে জান হলেও আমার বাবারে ফেরত চাই
জিহাদকে আমি গতকাল (শুক্রবার) বিকেলে নিজের হাতে খাইয়ে দিয়েছি। খেয়ে জিহাদ বন্ধুদের সাথে খেলতে যায়। খেলতে গিয়েই নিখোঁজ। আমি কিছুই জানতে চাই না, বুঝতেও চাই না, আমি আমার বাবারে ফেরত চাই।
শনিবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে নিহত জিহাদের বাসায় গেলে মা খাদিজা আক্তার বিলাপ করতে করতে এসব কথা বলেন।
জিহাদকে উদ্ধারের পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত ডাক্তার জিহাদকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মা খাদিজা প্রথমে ছেলে উদ্ধারের খবর পেলেও মৃতের খবর দেয়নি কেউই।
পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আত্মীয়দের মাধ্যমে ছেলের মৃত্যুর খবর পান তিনি। ছেলে মৃত্যুর খবর শুনেই বার বার মুর্ছা যান তিনি।
পরে একটু সুস্থ হলে খাদিজা আক্তার জাগোনিউজকে বলেন “আমি আমার বাবারে চাই। জানের বদলে জান হইলেও আমি আমার বাবারে চাই”
জিহাদের মামাতো ভাই সোহেল বলেন, ফুফু কাল বিকেল থেকে কিছুই খান নি। দুপুরে জোর করে বিস্কিট আর চা খাওয়ানো হয়েছে। না খাওয়ার কারণে শরীর অনেক দূর্বল। শারীরিক ও মানুসিকভাবে দুর্বল হওয়ার কারণে বিছানা থেকে উঠতেও পারছেন না তিনি।
শুক্রবার বিকেলে খাওয়া শেষে ‘মা আমি খেলতে যাচ্ছি’ বলেই ঘর থেকে বেড়িয়ে গিয়েছিল জিহাদ। এটাই ছিল মা খাদিজার সঙ্গে শেষ কথা। শুক্রবার অন্যান্য দিনের মতো প্রতিবেশী কয়েক বন্ধুর সাথে জিহাদ বিকেলে খেলতে যায়। বাসার সামনে রেলওয়ে কলোনি সংলগ্ন ওয়াসার পরিত্যক্ত পাইপ লাইনে পড়ে যায় জিহাদ।
যখন বাসা থেকে বেড়িয়ে যায় জিহাদ তখন পরনে ছিল হলুদ রংয়ের সোয়েটার ও হাফ প্যান্ট।